শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ ।। ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২৬ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মজা করে বেসামরিক মানুষ হত্যা করছে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত  মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ‘ড. ইউনূসকে পদত্যাগ করালে বিপ্লবী সরকার গঠন করবে ছাত্র-জনতা’ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অর্থবহ সমাধান আসবে: জামায়াত আমির নোয়াখালীতে আন-নুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা লন্ডনে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তি জব্দ প্রধান উপদেষ্টার যেসব চাপে থাকার কথা জানালো নিউইয়র্ক টাইমস হজে গিয়ে অসুস্থ ১১১ বাংলাদেশি, হাসপাতালে ৩০ ইসলাম গ্রহণের পর জবি শিক্ষার্থীর হৃদয়ছোঁয়া আহ্বান – "একবার কুরআন পড়ুন"

ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা আলোচনা-সমালোচনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| কাউসার লাবীব ||

ইসলামিক স্কলার ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর একটি ভিডিও অনেকের টাইমলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তিনি বলছেন,  আমি অবাক হয়েছি মুসলমান! এদেশে কিছু লোক ফতোয়া দিসে ‘গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হচ্ছে শ্রেষ্ঠ জিহাদ।’ হারামকে শ্রেষ্ঠ জিহাদ বললে ইমান আর থাকে কই! শুধু বেইমান না, তাগুতের খাতায় নাম উঠবে।

তার জানান, এইভাবে ভন্ড পীরেরা বাংলাদেশের মানুষকে পাশ্চাত্যের দালাল বানায়া গণতন্ত্রের গোলামী করাতে চায়। বাংলার মাটিতে তা হতে দেয়া হবে না।

তার মতে, এদের মূল টার্গেট কওমি মাদরাসা। ইহুদিরা বহু চেষ্টা করেছে বাংলাদেশকে মাদরাসামুক্ত করবে। তা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় নাই। বরং তারা দেখেছে বাংলাদেশে একেকটি মাদরাসা ইসলামের পক্ষে একেকটি ক্যান্টনম্যান হয়ে গেছে। সে জন্য মাদরাসার ভিতরে তারা কিছু মোনাফেক সৃষ্টি করতে চায়; যারা খেলাফতে ইসলামকে বিশ্বাস করবে না। ইমারতে ইসলামকে বিশ্বাস করবে না। খেলাফতের বিরোধিতা করে গণতন্ত্রের পক্ষে দালালী করবে।

আরো পড়ুন: গণতন্ত্র নিয়ে ড. আব্বাসীর বক্তব্য, মুফতি ফয়জুল করীমের তীব্র প্রতিক্রিয়া

বক্তব্যটি ছড়িয়ে পড়ার পর এর পক্ষে বিপক্ষে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।

অনেকে বলছেন, গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের অনেক আকাবির নির্বাচিত হয়ে সংসদে গিয়েছেন। তাদের ব্যাপারে কি একই কথা হবে?

আবার অনেকে বলছেন, আমাদের আকাবিরদের কেউ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনে অংশ নিলেও তারা একে হারাম বলতেন। বাধ্য হয়ে অংশ নিয়েছিলেন তারা।

এর বিপরীতে কেউ কেউ বলছেন, আকাবির মধ্যে অনেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাকে জিহাদ সাব্যস্ত করেছেন। তাহলে তাদের ব্যাপারে কী বলবেন?

এর বিপীতে আবার কেউ কেউ বলছেন, পূর্ববর্তী কেউ কোনো ভুল করলে তা সহিহ হয়ে যায় না।

এভাবেই চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এই বিতর্কে একজন আলেম আরেকজন আলেমকে কাফের, মুশরিক বা ইহুদিদের দালাল বলেও তৃপ্ত হচ্ছেন না। নতুন নতুন শব্দ আবিস্কারে ব্যস্ত অনেকে। অনেকে আবার অন্যদের ব্যক্তিগত ইস্যুও নিয়ে আসছে এখানে।

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। সামনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা সমস্যা। কাদিয়ানি, আহলে কোরআন, হিজবুত তাওহিদসহ নানা বাতিল ফেরকা আমাদের সামনে। তারা মুখিয়ে আছে আমাদের নিজেদের ঝগড়া দেখে হাত তালি দেয়ার জন্য। সময়ের এই ক্রান্তিলগ্নে নিজেদের মাঝে তৈরি হওয়া এই বিতর্ক কখন, কীভাবে, কোথায় গিয়ে শেষ হয় তা সময়ই বলে দেবে।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ