বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করতে চান ফরাসি মন্ত্রী ইত্তেফাকুল মাদারিসিল ক্বাওমিয়্যাহ কেরানীগঞ্জের শিক্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত শাপলা ও পিলখানার বিচার দাবিতে জমিয়তের বিক্ষোভ মিছিল সামরিক হামলার নিন্দা জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান তারেক রহমানের ভারতকে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বন্ধ করতে হবে: ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ হজযাত্রীদের সবধরনের সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ সৌদি যুবরাজের নারী কমিশন ইসলামিক চিন্তাবিদদের সমন্বয়ে পুনর্গঠন করতে হবে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপে বসছে ইসলামী আন্দোলন আইসক্রিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভালো? অধিকাংশ সংস্কার প্রস্তাবে ইসলামী আন্দোলনের ঐকমত্য, কয়েকটিতে দ্বিমত

ঘুমন্ত মায়ের মাথায় গুলি! পাবজি খেলতে বাধা দেওয়ায় চরম সিদ্ধান্ত নিল কিশোর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মোবাইলে পাবজি খেলতে বাধা। রাগে বাবার পিস্তল বের করে ঘুমন্ত মায়ের মাথায় গুলি করে খুন। অভিযুক্ত দশম শ্রেণির কিশোর।

ছেলে পাবজি এবং ইনস্টাগ্রামে আসক্ত। বার বার বারণ করা না সত্ত্বেও না শোনায় মায়ের মারধর। এই রাগেই মায়ের মাথায় গুলি করে খুন করল দশম শ্রেণির পড়ুয়া। লখনউ-এর পঞ্চমখেদা যমুনাপুরম কলোনিতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার নাম সাধনা সিংহ (৪০)। খুন করার পর মায়ের মৃতদেহ তিন দিন ধরে ঘরের ভিতরেই লুকিয়ে রেখেছিল ১৬ বছরের কিশোর। পাশাপাশি ছোট বোনকে হুমকি দেয় যে, পুলিশ বা অন্য কাউকে এই বিষয়ে কিছু বললে সে তাকেও খুন করবে।

মঙ্গলবার মৃতদেহে পচন ধরলে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। প্রতিবেশীরা পুলিশকে এই বিষয়ে জানালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । পুলিশ ছেলেকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জেরার মুখে নিজের দোষ স্বীকার করে বলেও জানা গিয়েছে। এর পর পুলিশ মৃতার স্বামীকেও পুরো ঘটনা জানায়। মৃতার স্বামী নবীন সিংহ সেনাবাহিনীর সুবেদার মেজর (জেসিও)। তিনি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে কর্তব্যরত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে সাধনা দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। ভোর ৩টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে থাকা নবীনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত পিস্তল বের করে মায়ের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় অভিযুক্ত। ঘটনাস্থলেই সাধনার মৃত্যু হয়। এর পরই ছোট বোনকে হুমকি দিয়ে অন্য ঘরে শুতে চলে যায় অভিযুক্ত। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বোনকে আবারও হুমকি দেয় সে।

অভিযুক্তের বোন পুলিশকে জানিয়েছে, এই দু’দিনে অভিযুক্ত বার বার মায়ের মৃত দেহের ঘরে যেত এবং দুর্গন্ধ যাতে না ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্য সুগন্ধী ব্যবহার করত। কিন্তু মঙ্গলবার দুর্গন্ধ মাত্রা ছাড়ালে অভিযুক্ত কিশোর তার বাবা নবীনকে ফোন করে বলে যে, তাদের মাকে কেউ বা কারা খুন করেছে এবং আততায়ীরা তাদের দুই ভাই-বোনকে ঘরে আটকে রেখেছে। এর পরই নবীন প্রতিবেশী দীনেশ তিওয়ারিকে ফোন করে খোঁজ নিতে বলেন। দীনেশই তাঁদের ঘরে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্ত নাবালক জানিয়েছে যে, সে সবসময় পাবজি খেলতো বলে তার মা তাকে মারধর করত। এমনকি, ঘটনার দিন তাদের ঘর থেকে ১০ হাজার টাকা চুরি যাওয়ায় সেই দোষও তার ঘাড়ে এসে প়ড়ে। এই নিয়েও তার মা তাকে সন্দেহ করে এবং মারধর করে। এছাড়াও বা়ড়িতে কিছু হলে তার মা তাকেই মারধর করত এবং শাসন করত বলে সে পুলিশকে জানিয়েছে। কিন্তু শনিবার মায়ের কাছে মার খাওয়ার পরই অভিযুক্ত তার মা-কে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়।

মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে অভিযুক্ত নাবালককেও আটক করেছে পুলিশ। মৃতার স্বামী ইতিমধ্যেই আসানসোল থেকে লখনউ রওনা দিয়েছেন। সূত্র: আনন্দ বাজার পত্রিকা

-কেএল


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ