বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন: ঢাবি শিক্ষক বিশ্বজিৎ ঘোষকে পাঠদান থেকে অব্যাহতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নিজ বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষকে।

গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বিভাগটির একাডেমিক কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সম্প্রতি এটি প্রকাশ পায়। ওই সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে সর্বসম্মতিক্রমে আরও বেশ কয়েকটি শাস্তির সিদ্ধান্ত সভায় গৃহীত হয়।

সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, অভিযুক্ত অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ ওই সভায় উপস্থিত হয়ে তার ভুল হয়েছে বলে জানান। তিনি সবার কাছে ক্ষমা চান এবং করুণা ভিক্ষা করেন।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভবিষ্যতেও বিশ্বজিৎ ঘোষকে কোনো একাডেমিক কার্যক্রমে যুক্ত করা হবে না, সিঅ্যান্ডডি ও একাডেমিক কমিটির সভায় তাকে ডাকা হবে না, তার নামে বরাদ্দকৃত বিভাগীয় কক্ষ বাতিল করা হবে এবং বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে আরও বৃহত্তর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা হবে কি না সেটি অভিযোগকারীর সম্মতি সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সভায় জানানো হয়।

কার্যবিবরণীতে বলা হয়, তদন্তকালীন সময়েও একাডেমিক কমিটির এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

একাডেমিক কার্যক্রমের মধ্যে পড়বে সব ধরনের ক্লাস নেওয়া, পরীক্ষায় প্রত্যবেক্ষণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, এমফিল-পিএইচডি গবেষণা তত্ত্বাবধায়ন, পরীক্ষা কমিটির কাজে অংশগ্রহণ প্রভৃতি।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত মাসে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। পরে ওই ছাত্রী বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এ নিয়ে গত ২৯ মার্চ দুপুর ১২টায় বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে আসা যৌন-নিপীড়নের লিখিত অভিযোগটি উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি লিখিত অভিযোগপত্রটি পড়ে শোনান। এরপর কমিটির সদস্যরা এটি নিয়ে অনেকক্ষণ আলোচনা করেন। পরে সবাই শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পক্ষে মতামত দেন।

সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, অভিযুক্ত অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ ওই সভায় উপস্থিত হয়ে তার ভুল হয়েছে বলে জানান। তিনি সবার কাছে ক্ষমা চান এবং করুণা ভিক্ষা করেন। তবে একাডেমিক কমিটির সদস্যরা তার দ্বারা সংঘটিত অতীতের বিভিন্ন যৌন নির্যাতনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তার এই প্রার্থনা গ্রহণ করেননি।

তবে অভিযোগটি মিথ্যা দাবি করে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমার সাফল্য এবং সুনামে ঈর্ষান্বিত হয়ে ওই শিক্ষার্থীর মাধ্যমে কোনো মহল এ কাজ করিয়েছে বলে আমি মনে করি। বিষয়টি সম্পন্ন মিথ্যা।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ