মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মুখে দুর্গন্ধ যে রোগের লক্ষণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ বিভিন্ন রোগের ইঙ্গিত দেয়। তবে তা সাধারণ ভেবে অনেকেই ভুল করেন। ডায়াবেটিসের লক্ষণ কিন্তু হতে পারে মুখের দুর্গন্ধ। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধলে প্রথমে তা টের পাওয়া যায় না। তবে কিছু লক্ষণ আছে যার মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থাতেই ডায়াবেটিস শনাক্ত করা হয়।

যেমন- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, সব সময় পানি পিপাসা পাওয়া, জিভ শুকিয়ে আসা, চোখে ঝাপসা দেখা, ওজন কমে যাওয়া, মাত্রাতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতার মতো কিছু উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়।

এছাড়া চিকিৎসকরা বলছেন, দুর্গন্ধযুক্ত নিশ্বাসও ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে মুখের চারপাশের অংশে তার প্রভাব পড়ে। নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হওয়ার সমস্যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় ‘হ্যালিটোসিস’।

মুখে দুর্গন্ধ যে রোগের লক্ষণ

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন কিডনি, হৃদযন্ত্রসহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সঠিক জীবনযাপন, খাওয়া-দাওয়ায় বিধিনিষেধ, নিয়ম করে শরীরচর্চার মাধ্যমে কিন্তু সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

চিকিৎসকরা বলছেন, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে মুখের দুর্গন্ধজনিত সমস্যা, দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা, প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাগুলোকে ‘ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস’বলা হয়।

রক্তে ইনসুলিনের অভাবে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। ইনসুলিনের ঘাটতির কারণে শরীর শর্করা বিপাকের মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করতে পারে না। ফলে শরীরে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিডের মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন করা শুরু করে। ফলে হিসাবে শরীরে ‘কিটোন ব়ডি’ তৈরি হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা ২৫০-৩০০ এর বেশি হলেই এ সমস্যার সৃষ্টি হয়।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ