বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬


পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার ১০ উপায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভালো শিক্ষার্থী তারা, যারা সবসময় বই নিয়ে পড়ে থাকে - বিষয় টি এমন নয়। ভালো শিক্ষার্থীদের কিছু অভ্যাস থাকে যা তাদের ভালো ফল করতে সাহায্য করে। আর এসব অভ্যাসের বলেই ভালো ফল করতে পারে।

১০) নিজের যাচাই করা: ক্লাস নোটস পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন বইয়ের কোন অংশ থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। এসব জায়গা চিহ্নিত করে রাখুন। পরীক্ষার আগের দিন এসব অধ্যায় থেকে প্রশ্ন তৈরি করুন এবং নিজের একটি পরীক্ষা নিন। যদি দেখেন ভালোভাবে উত্তর দিতে পারছেন না, তাহলে সেসব জায়গা আবার পড়ে নিন।

৯) গ্রুপ স্টাডি বা তাকরার: একেকজন একেকভাবে পড়াশোনা করে, কেউ একটি বিষয় অন্যদের থেকে ভালো বোঝে, কারও ক্লাস নোটস অন্যদের তুলনায় ভালো হয়। এ কারণে একসাথে পড়তে বসলে সবাই তা থেকে উপকৃত হয়।

৮) ক্লাসে অ্যাক্টিভ থাকা: উস্তাদ কী বুঝাচ্ছেন তা বুঝতে না পারলে তা পুনরায় জিজ্ঞেস করতে ভুলবেন না। এতে আপনিও যেমন বিষয়টা ভালোভাবে বুঝতে পারেন, তেমনি শিক্ষকও আপনাকে ভালো চোখে দেখবেন।

৭) গোছানো অ্যাসাইনমেন্ট: গোছানো, পরিষ্কার ও দৃষ্টিনন্দন অ্যাসাইনমেন্ট স্বাভাবিকভাবেই বেশি নম্বর পায়। অনেক সময়ে খুব তথ্যবহুল অ্যাসাইনমেন্টও গোছানো না হওয়ার কারণে কম নম্বর পেতে পারে। তাই অ্যাসাইনমেন্ট গোছানো রাখার দিকে মনোযোগ দিন।

৬) ক্লাস নোট: ক্লাসে মনোযোগ দেওয়াটা খুব জরুরী। ক্লাসে যা পড়ানো হয়, যেটায় জোর দেওয়া হয় সাধারণত সেটাই পরীক্ষায় আসে। ক্লাসে নোট না নিলে আপনি বুঝতে পারবেন না পরীক্ষায় কী আসবে। তাই গুছিয়ে নোট নিন।

৫) সময় ভাগ করে নেয়া: অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করার জন্য সময়কে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে নিন। অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবার শেষ তারিখটা জেনে নিয়ে পুরো অ্যাসাইনমেন্টটি বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে নিন। একদিন বিষয়টি নিয়ে রিসার্চ করুন, আরেকদিন লিখে ফেলুন, আবার একদিন সহপাঠিকে দিয়ে রিভিউ করিয়ে নিন।

৪) দ্রুত পড়ার অভ্যাস করা: দ্রুত পড়ার অভ্যাস গড়ে তুললে কম সময়ে অনেক বেশি পড়া যায়। প্রথম একটি বইয়ের সুচিপত্র পড়ে আপনি বুঝতে পারবেন বইটি কী বিষয়ের ওপরে লেখা। এরপর বইটি দ্রুত পড়ে নিতে পারেন।

৩) পড়ার জিনিস গুছিয়ে রাখা: নোট, কলম, পেন্সিল এসব খুঁজতে সময় নষ্ট হলে পড়ার ইচ্ছে অনেকটাই কমে যায়। ভালো শিক্ষার্থীরা সবসময় পড়ার জিনিস গুছিয়ে রাখে যাতে খুঁজতে সময় ব্যয় না হয়। এতে পড়াশোনা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।

২) পড়াশোনা -যে কোনো স্থানে: কেউ নিরিবিলিতে পড়তে পছন্দ করে। আবার কেউ ভোর বেলাতে পড়তে পছন্দ করে। কেউ কেউ আবার ক্লাস থেকে ফিরে লেকচার মনে থাকতে থাকতেই পড়ে ফেলে। ভালো শিক্ষার্থীরা এর পাশাপাশি আলাদা সময় বের করে নেয়। যেমন ঘরের আয়নার পাশে একটি কাগজে ভোকাবুলারি লিস্ট আটকে রাখা এবং প্রতিদিন একটি করে শব্দ শিখা। ক্লাসে যাওয়া আসার পথে কিছু একটা পড়া।

১) পড়াশোনাকে প্রাধান্য দেওয়া: ভালো শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সময়ে শুধু পড়াশোনাতেই মনোযোগ দেয়। পড়ার সময়ে ফোনে কথা বলা, নেট ব্রাউজিং, এমনকি টুকিটাকি কাজের দিকেও মনোযোগ দেয় না। পড়ার নির্দিষ্ট সময়ে শুধুই পড়াকে প্রাধান্য দেয়।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ