মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ওমিক্রন সময়ে সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই পরামর্শগুলো

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সময়টা দখল করে নিয়েছে করোনা। ভ্যারিয়েন্ট বদলে কোভিড তার ভয়ংকর রূপ নিয়ে ফিরে আসছে বারবার। তাই অসুখ-বিসুখকে দূরে রেখে সুস্থ জীবনযাপন করতে প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাস।

খুব কম সংখ্যক মানুষই শরীরের কথা ভেবে খাদ্যাভ্যাস পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। কিন্তু তাতে যদি সত্যিই শরীরের লাভ হয়, তাহলে এই ছোট ছোট পরিবর্তনগুলোয় অভ্যস্ত হওয়াই ভালো। সেজন্য সুস্থ থাকতে মেনে চলুন কিছু নিয়ম।

সারাদিনে যা খাচ্ছেন, তার মধ্যে টাটকা শাকসবজি এবং ফলের পরিমাণ বেশি বেশি রাখার চেষ্টা করুন। অন্যদিকে ক্যানড এবং ফ্রোজেন খাবার, যতটা সম্ভব কম খাবেন।

টাটকা ফল এবং সবজির রস নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন। আমাদের লিভার ব্লাড পিউরিফায়ার হিসেবে কাজ করে।

লিভার ভালো রাখতে এবং টক্সিন ফ্লাশ আউট করতে প্রতিদিন বিটের রস খাবেন। এটি পেট পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করবে। একইভাবে কিডনি ভালো রাখবে তরমুজের রস।

বাঁধাকপি ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে ভীষণ উপকারী। অন্যদিকে সেলেরি খেলে কমবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। কমবে ‘গাউট’-এর আশঙ্কাও। হজমশক্তি বাড়াতে খেতে পারেন আনারস।

জিঙ্ক ইমিউন স্টিমুল্যান্ট হিসেবে ভীষণ জরুরি। শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি থাকলে ঘন ঘন সংক্রমণে ভুগতে পারেন। এছাড়াও অন্যান্য নানা শারীরিক কাজেও জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই নিয়মিত জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। সূর্যমুখীর বীজ, পালংশাক, সয়াবিন, সি-ফুড, মাশরুম, ডাল, বাদাম, ডিম, তিল, ফ্লাক্সসিড, দুধ ইত্যাদি জিঙ্কের ভালো উৎস।

প্রতিদিন অন্তত দুটি করে ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, যেমন রাজমা, মেথিশাক, কালো তিল ইত্যাদি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
প্রতিদিন অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট আছে এমন খাবার খেতে পারলে ভালো।

প্রতি ছয় মাস অন্তর একবার হলেও শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রয়োজন।

আর্টিফিশিয়াল সুইটনারও চিনির মতোই ক্ষতিকারক। তাই চিনির পরিমাণে কমাতে গিয়ে কৃত্রিম সুইটনারের অভ্যাস করবেন না।

অতিরিক্ত চিন্তা, ভয়, নেতিবাচক ভাবনা ঝেড়ে ফেলে রিল্যাক্সড থাকার চেষ্টা করুন। মনের সরাসরি প্রভাব পড়ে শরীরে। এই মুহূর্তে সারা বিশ্বই অতিমারির চিন্তায় ভীত। নিয়মিত যদি কোভিড সংক্রান্ত খারাপ খবর শুনতে থাকেন, তাহলে শরীরের উপকারের চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশি।

ওজন যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে, সবার আগে ওজন কমাতে চেষ্টা করবেন। প্রতিদিন শরীরচর্চা করুন।

তিনবেলার খাওয়ার রুটিন গড়ে তুলুন। বেশি রাতে খাবার খাওয়া একেবারেই ভালো না। চেষ্টা করুন সন্ধ্যা সাতটার পর আর কোনো ভারী খাবার না খেতে। ডিনারও তার আগেই সেরে ফেললে ভালো।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ