শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ ।। ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২৬ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মজা করে বেসামরিক মানুষ হত্যা করছে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত  মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ‘ড. ইউনূসকে পদত্যাগ করালে বিপ্লবী সরকার গঠন করবে ছাত্র-জনতা’ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অর্থবহ সমাধান আসবে: জামায়াত আমির নোয়াখালীতে আন-নুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা লন্ডনে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তি জব্দ প্রধান উপদেষ্টার যেসব চাপে থাকার কথা জানালো নিউইয়র্ক টাইমস হজে গিয়ে অসুস্থ ১১১ বাংলাদেশি, হাসপাতালে ৩০ ইসলাম গ্রহণের পর জবি শিক্ষার্থীর হৃদয়ছোঁয়া আহ্বান – "একবার কুরআন পড়ুন"

আফগানিস্তানে রাতের অন্ধকারে গোপনে পালাচ্ছেন মার্কিন সেনারা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা আফগানিস্তানের বাগরামে তাদের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক বিমানঘাঁটি ছেড়ে চলে গেছে। রাতের আঁধারে আফগান কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়েই তারা চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন ওই ঘাঁটির নতুন কমান্ডার জেনারেল আসাদুল্লাহ কোহিস্তানি।

আজ মঙ্গলবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাগরামের নতুন কমান্ডার বিবিসিকে বলেছেন, আমেরিকানরা গত শুক্রবার ভোররাত ৩টার দিকে সেখান থেকে চলে যায়।

আফগান সামরিক বাহিনী এর কয়েক ঘণ্টা পর তা জানতে পারে। বাগরাম বিমানঘাঁটিতে একটা কারাগারও আছে। সেই কারাগারে এখনো পাঁচ হাজারের মতো তালেবান সদস্য বন্দী রয়েছে বলেও বিবিসির খবরে বলা হয়েছে। এদিকে, মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ দ্রুততার সাথে গ্রহণ করছে তালেবান।

এ বিষয়ে জেনারেল কোহিস্তানি গতকাল সোমবার বলেন, আফগান সরকারি বাহিনী ধারণা করছে, তালেবান বাগরাম বিমানঘাঁটি দখলের জন্য হামলা চালাবে। বিমানঘাঁটিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিমানঘাঁটির নিকটবর্তী ‘গ্রাম এলাকায় তালেবানের তৎপরতার’ কিছু খবর তারা ইতোমধ্যেই পেয়েছেন।

গত শুক্রবার আমেরিকা ঘোষণা করে, পূর্ব-ঘোষিত চূড়ান্ত সময়সীমার আগেই তারা বাগরাম খালি করে চলে গেছে। এ বছরের গোড়ার দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছিলেন, আমেরিকা আফগানিস্তানে তার সামরিক মিশন শেষ করে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে।

উল্লেখ্য, বাগরাম বিমানঘাঁটির হাতবদল আগেও হয়েছে। ’৫০-এর দশকে আমেরিকানরা আফগানিস্তানকে সুরক্ষা দিতে এই বিমানঘাঁটি প্রথমে তৈরি করে। এরপর ১৯৭৯ সালে রাশিয়ার রেড আর্মি আফগানিস্তানে আক্রমণ চালানোর পর এই বিমানঘাঁটির দখল নেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। পরে এই বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ছিল মস্কো সমর্থিত আফগান সরকারের হাতে।

এরপর এটির দখল নেয় একটি মুজাহেদিন প্রশাসন এবং ’৯০-এর দশকের মাঝামাঝি তালেবান ক্ষমতায় এলে বিমানঘাঁটিটি তাদের নিয়ন্ত্রণে আসে। আমেরিকা ২০০১ সালে আফগানিস্তানের দখল নিয়ে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। এটিকে তারা বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে থাকা এক বিশাল সেনা ঘাঁটিতে রূপান্তর করে। এখান থেকেই মার্কিন বাহিনী গত বিশ বছর ধরে তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ