মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫ ।। ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৮ জিলকদ ১৪৪৬


মৃত্যু ও পরকাল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা সাদেক আহমদ সিদ্দিকী

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সূরা আন্-নিসার ৭৮ নাম্বার আয়াতে ইরশাদ করেছেন, ’তোমরা যেখানেই থাক না কেন; মৃত্যু কিন্তু তোমাদের পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও অবস্থান কর’।

ইবনে মাজাহ শরীফে আছে, হযরত আবু হুরাইরা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’স্বাদসমূহ বিনষ্টকারী মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণ কর’। পবিত্র কোরআন ও হাদীস শরীফের দ্বারা প্রমাণিত, মৃত্যুর পর মানুষের কবরের জগত শুরু হয়। কবরের ফেরেশতাকে মুনকার ও নাকীর বলা হয়। কবরে অন্ধকার, একাকীত্ব, মুনকার -নাকীরের ভয়ানক চেহারা দেখা সত্বেও মোমেন ব্যক্তি কোন প্রকার ভয় অনুভব করবে না। বরং মোমেন ব্যক্তি ফেরেশতাদের প্রশ্নের উত্তর নির্ভয়ে দিবে।

বুখারী শরীফে আছে, রাসূল সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মৃত্যুর পর ঈমানদাররা বলতে থাকে, আমাকে জলদি নিয়ে চল, আমাকে জলদি নিয়ে চল। আর নাফরমানরা বলতে থাকে, আফসোস, তোমরা আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ’!।

হযরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে দিয়ে একটি জানাযা যাচ্ছিল। তখন তিনি বললেন, মুসতারিহুন ওয়া মুসতারাহুম মিনহু- এর অর্থ আরামপ্রাপ্ত না আরামদাতা? সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন, আরামপ্রাপ্ত এবং আরামদাতার অর্থ কি? তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাাম বললেন, ’মোমেন ব্যক্তি মৃত্যুর পর পৃথিবীর দুঃখ -কষ্ট থেকে মুক্তি পেয়ে আল্লাহর রহমতে আরামে থাকে আর নাফরমান মৃত্যুর পর মানুষ, শহর ও চতুষ্পদ জন্তু আরাম ভোগ করে’। (বুখারী )। চলে

লেখক: মুহতামিম, জামিয়া মদীনাতুল উলূম ভাটারা, ঢাকা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ