শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়তের জাতীয় কাউন্সিলের ৭ নতুন প্রস্তাবনা ‘আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ব্যতিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সংহতি বজায় রাখা সম্ভব নয়’ গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার এবার যে ২০ ভাষায় অনুবাদ করা হবে হজের খুতবা সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ ৫ বছরের পক্ষেই জামায়াত স্বামীর টাকায় হজ করলে ফরজ আদায় হবে? ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ ৩০ ফিলিস্তিনি, নেই উদ্ধারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পেহেলগামে হামলার স্বচ্ছ তদন্তের জন্য পাকিস্তান প্রস্তুত: শাহবাজ শরীফ জমিয়তের সভাপতি আল্লামা ওবায়দুল্লাহ ফারুক মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি খেলাফত আন্দোলনের নতুন মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী

রোজা রেখে ভ্যাকসিন নেওয়া বৈধ: শীর্ষ আলেমরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে রমজান মাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। রমজান মানেই মুসলমানদের আনন্দের মাস। সারাবছরের সৌরভ  ও ভাললাগা জমা থাকে যে মাসে, সেটা হলো রমজান মাস। রমজান মাস মুসলমানরা রোজা রাখেন। এই রোজা রেখে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নেয়ার ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ কী? ভ্যাকসিন গ্রহণে রোজায় কোনো সমস্যা হতে পারে কিনা? এ বিষয়ে দেশীয় আলেমগণ কী বলছেন? প্রতিবেদনটি সাজিয়েছেন আওয়ার ইসলামের নিউজরুম এডিটর মোস্তফা ওয়াদুদ।


সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসলামি স্কলাররা জানিয়েছেন, রোজা রেখে ভ্যাকসিন নিতে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো বাধা নেই। এ বিষয়ে অবশ্য দেশের সরকারী সংস্থা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিচালিত ইসলামিক ফাউণ্ডেশন দেশের শীর্ষ আলেমদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গণমাধ্যমে বৈঠকের তারিখও প্রকাশিত হয়েছে। বৈঠকের পর সরকারী সিদ্ধান্ত জানা যাবে। তবে আওয়ার ইসলামের সঙ্গে বথা বলেছেন দেশের শীর্ষ কয়েকজন আলেম। তারাও রোজা রেখে ভ্যকসিন গ্রহণে কোনো বাধা দেখছেন না।

রাজধানীর বারিধারা মাদরাসার প্রধান মুফতি মাওলানা ইকবাল হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘ভ্যাকসিন হলো সতর্কতামূলক করোনার চিকিৎসা। করোনা ভাইরাস হলো মরণব্যাধি রোগ। মরণব্যাধি রোগ থেকে বাঁচতে চিকিৎসা নেয়া অত্যন্ত জরুরি। করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন মূলত একটি ইনজেকশন। রোজা অবস্থায় যেভাবে ইনসুলিন নেয়া যায়। ঠিক একইভাবে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নেয়া যাবে। কেননা এতে কোন স্বাদ কিংবা খাদ্যের অনুভূতি হয় না। রোজা ভঙ্গ হওয়ার জন্য স্বাদ বা খাদ্যের অনুভূতি হওয়া জরুরী। তাই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিলে রোজা ভাঙবে না। রোজা অবস্থায় ভ্যাকসিন নেয়া যাবে।’

কথা বলেছিলাম বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন পানি জাতীয় একটি ঔষধ। আর ওষুধটি ইনজেকশনের মত পুশ করা হয়। যা শরীরের খাদ্যনালীতে পৌঁছায় না।’

একই রকমের কথা বলেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর গবেষণা বিভাগের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে বাংলাদেশি ওলামায়ে কেরামের সাথে শীঘ্রই ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে উপস্থাপনার জন্য আমি দীর্ঘ একটি গবেষণা প্রবন্ধ তৈরি করেছি। যাতে চিকিৎসা বিজ্ঞান ও ইসলামের দৃষ্টির সমন্বয় করে ওষুধ সেবন এর বিষয়গুলো তুলে এনেছি। গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন পানি জাতীয় একটি ঔষধ। যা দেওয়া হয় শরীরের এমন জায়গায়, যেখান থেকে কোনভাবেই খাদ্যনালীতে কিংবা পেটের ভেতরে পৌঁছায় না। আর এতে করে রোজা ভঙ্গের যে শর্ত আছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার কারণে সে সকল শর্ত ভঙ্গ হয় না।’

এদিকে আগামী রোববার (১৪ মার্চ) আগারগাঁয়ে ইফার কার্যালয়ে সরকার কর্তৃক ঘোষিত বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে আলেম-উলামা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

বৈঠকে রমজান মাসে ভ্যাকসিন গ্রহণে ধর্মীয় কোনো বিধি-নিষেধ রয়েছে কি-না এটা নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাদের মতামতের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য বিভাগ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ