মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

আল্লাহ নিজে লজ্জাশীল; তিনি লজ্জাশীলতাকে ভালোবাসেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফরহাদ খান নাঈম।।

লজ্জাশীলতার আরবি প্রতিশব্দ হলো ‘হায়া’। আর ‘হায়া’ শব্দটি ‘হায়াত’ থেকে এসেছে। হায়াত শব্দের অর্থ হলো জীবন। হায়া ও হায়াত একে অপরের পরিপূরক। হায়া ছাড়া সুন্দর হায়াত তথা জীবন গঠন করা একেবারে অসম্ভব। সুতরাং নামকরণ ও উৎপত্তিগত অর্থ থেকেই ‘হায়া’ তথা লজ্জাশীলতার গুরুত্ব উপলব্ধি করা যায়।

সালমান রা. থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, আল্লাহ তা’য়ালা লজ্জাশীল এবং মহা দয়ালু। কেউ আল্লাহর দরবারে হাত তুললে তিনি তাকে লজ্জার কারণে খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে পারেন না। আবু দাউদ

অন্য একটি হাদীসে আছে, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ইমানের সত্তরটিরও বেশি শাখা আছে; লজ্জাশীলতা ইমানের একটি শাখা। লজ্জাশীলতা যেহেতু ইমানের একটি অংশ, সুতরাং এটি ছাড়া মুসলমানের ইমান অপূর্ণাঙ্গ থেকে যায়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ যা মুমিনকে সব ধরনের পাপাচার থেকে বিরত থাকতে সাহায্য করে। আল্লাহ তা’য়ালা সর্বদা আমাদেরকে দেখছেন; তাই তিনি অসন্তুষ্ট হন এমন কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের লজ্জা পেতে হবে।

এই অর্থে লজ্জাশীলতার অপর নাম হলো তাকওয়া; তাকওয়া হলো মুমিনের পোশাকস্বরূপ। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, হে আদম সন্তানগণ নিশ্চয়ই আমি তোমাদের প্রতি এক পোশাক অবতরণ করেছি যা দ্বারা তোমরা লজ্জার বস্তুগুলো গোপণ করবে এবং একটি এমনও যে, যা তোমাদের শোভা হবে। এবং তাকওয়ার পোশাকই সর্বোৎকৃষ্ট। এটা আল্লাহর নিদর্শনগুলোর অন্যতম যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। সূরা আরাফ: ২৬।

মানুষ লজ্জাহীন হলে তার পক্ষে যেকোনো গর্হিত কাজই করা সম্ভব। এমনকি লজ্জাহীনতার কারণে মানুষ কখনো কখনো পশুর চেয়েও অধম হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন- যদি তোমার লজ্জা না থাকে, তাহলে তোমার যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে। বুখারি।

অনেকের মধ্যে একটি ভুল ধারণা আছে যে লজ্জা বুঝি কেবল মেয়েদেরই থাকতে হবে। বরং ইসলাম নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই লজ্জাশীলতাকে আবশ্যক করেছে; এবং লজ্জাশীলতার বেশ কিছু বিধান জারি করেছে। যেমন- দৃষ্টি অবনত রাখা ও অশালীন কথাবার্তা থেকে বিরত থাকা।

পরনারী কিংবা পরপুরুষের সাথে ঘনিষ্ঠতা না রাখা। শরয়ী পোশাক পরিধান করা। অপ্রয়োজনীয়ভাবে নিজেকে সাজানো বা অলংকৃত না করা। ঘরের বাইরে সুঘ্রাণযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার না করা (নারীদের জন্য)। অন্যের মনোযোগ আকর্ষিত হয় এমন অলংকারাদি পরিহার করা। লজ্জাশীলতা আধ্যাত্মিকতার একটি বাস্তব রূপ। মানুষের আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক লজ্জাশীলতা একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। কারো মন ও দৃষ্টিভঙ্গি যদি লজ্জাশীল হয়, তাহলে তার বাহ্যিক আচার-আচরণেও লজ্জাশীলতা প্রকাশ পাবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ