মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত রাষ্ট্রের দায়িত্বে কে যাবেন সেই ফয়সালা আল্লাহ করবেন : জামায়াতে আমির শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান অধ্যাপক আখতার ফারুক রহ.-এর জীবন-কর্ম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হেফাজতের মহাসমাবেশ সফলে সাভারে উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত  কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের পর জামিন পেলেন মাওলানা মাসউদুল করীম ইজতেমা মাঠের মামলায় মাওলানা মাসউদুল করীম কারাগারে নারী সংস্কার কমিশনের ত্রুটি জানানো হলো ঐকমত্য কমিশনকে

শবে বরাতেও যাদের দোয়া কবুল হবে না: মাওলানা তারিক জামিল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা তারিক জামিল 
মুসলিম স্কলার ও দাঈ

শবে বরাতের রাতে ফেরেশতারা সারাবছর যা কিছু হবে সব ঘোষণা করতে থাকে। কোথায় যুদ্ধ হবে, কোথায় শান্তি থাকবে, কোথায় বৃষ্টি হবে, কোথায় শুকনো থাকবে, কতজন মারা যাবে, কতজন জন্মগ্রহণ করবে, কোন ব্যক্তির রিজিক কোথায় রয়েছে, কার সম্মান বৃদ্ধি পাবে, কার বদনাম হবে - ফেরেশতারা সবকিছু এ রাতে এলান করে দেন।

এক ব্যক্তির নাম মৃতের খাতায় লেখা হয়েছে। ফেরেশতারা এলান করে দিয়েছে। এরপর ফেরেশতারা তার দিকে দৃষ্টি রাখতে থাকে। সে যখন বদমায়েশি করে তখন ফেরেশতারা বলে, দেখো! ওর নাম মৃতের খাতায় লেখা রয়েছে। আর সে কিনা নাফরমানি করতেছে!

আল্লাহর কাছে পাঁচটি দামী রাতের অন্যতম হলো ১৫ শাবানের রাত বা  “লাইলাতিন নিছফি মিন শা’বান”। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা উম্মতকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দেন।

রাসুলে আরাবী সা. বলেছেন, এ রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বনী কালব গোত্রের বকরীর গায়ে যে পরিমাণ পশম থাকে সে পরিমান মানুষকে মুক্তি দান করেন। এখানে বনী কালব একটি উধাহারণ মাত্র, অর্থাৎ এ কথা দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে আল্লাহ তায়ালা অগনিত মানুষকে নাজাত দেবেন।

তবে আল্লাহর বিশেষ ক্ষমার ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও এ রাতে সাত শ্রেণির মানুষের মুক্তি নেই। তারা হলো-

১. মুশরিক, ২. মদ পানকারী, ৩. পিতা-মাতার অবাধ্যতাকারী, ৪. হাসাদ বা হিংসা পোষণকারী, ৫. আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী, ৬. যিনাকারী, ৭. অহংকারী

এ রাতের নিষিদ্ধ কাজ : আমাদের সমাজে দেখা যায় এ রাতে অনেকেই রাত জেগে সম্মিলিতভাবে দলবেঁধে ইবাদাত করে। মসজিদে লাইট জালানো হয়, আলো ঝলমল পরিবেশ তৈরি করা হয়। এ সব আমলের কোনো ভিত্তি ইসলামে নেই। এ রাত নফল ইবাদাতের রাত। যতবেশি পারা যাবে নফল ইবাদাত করতে হবে। আর এ রাতের সর্বোত্তম ইবাদাত হলো, তাওবা করা ও দোয়া করা।

(উর্দু থেকে অনুবাদ করেছেন মোস্তফা ওয়াদুদ)

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ