বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মিয়ানমারের রাখাইনে তিনটি বোমা বিস্ফোরণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তোর আশপাশে বিভিন্ন স্থানে তিনটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি বলে দেশটির পুলিশ এএফপিকে জানিয়েছে। শনিবার ভোর ৪টার দিকে উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার বাড়িসহ আলাদা তিনটি জায়গায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দুই সপ্তাহের মধ্যে শুরু করার মিয়ানমারের ঘোষণার পর বোমা বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটলো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা বলেন, 'তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে, আরও তিনটি বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এতে একজন পুলিশ অফিসার আহত হয়েছেন তবে গুরুতর নয়।'

একটি বোমা স্টেট গভর্নমেন্ট সেক্রেটারির বাড়িতে বিস্ফোরিত হয়েছে। এছাড়া একটি অফিসের সামনে এবং রাস্তার উপরে বাকি দু'টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

ঘটনার পর বেশ কিছু রাস্তা পুলিশ বন্ধ করে রেখেছে বলে এফএফপিকে জানিয়েছেন জাও জাও নামে স্থানীয় এক নাগরিক।

রাখাইনের বিভিন্ন অংশে সহিংসতার ঘটনা প্রায়ই ঘটলেও রাজধানীতে এমন ঘটনা বিরল।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে গত আগস্টে তল্লাশিচৌকিতে হামলার পর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা দলে দলে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, এ দফায় প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই রোহিঙ্গাদের প্রায় সবাই অভিযোগ করেছে, মিয়ানমারের সেনারা রাখাইনে অভিযানের নামে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে।

জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এ অভিযানকে জাতিগত নির্মূল বলে আখ্যায়িত করেছে। তবে মিয়ানমার বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ