বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

রাখাইনে নতুন পাঁচটি গণকবরের সন্ধান পেল এপি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম :  মিয়ানমারে নতুন পাঁচটি গণকবর চিহ্নিত হয়েছে। রাখাইনের গু দার পাইনের একই এলাকার ওই পাঁচ গণকবরে চার শতাধিক মানুষের মরদেহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির অনুসন্ধানে এই তথ্য উঠে এসেছে।

সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ২৪ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে নতুন গণকবরের সম্পর্কে নিশ্চিত হয় এপি।

তবে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ গণকবর থাকার কথা অস্বীকার করেছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পায়নি এপি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকারের সঙ্গে মিলিয়ে র্নিধারিত ওই গ্রামগুলোর স্যাটেলাইট ইমেজ সংগ্রহ করে তারা। সংগৃহীত ছবির সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার মিল পাওয়া যায়। সবমিলে গণকবরের ব্যাপারে নিশ্চিত হয় তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ২৭ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের একটি এলাকায় ঝড়ের মতো প্রবেশ করে অন্তত ২০০ সেনা। মোহাম্মদ শাহ নামে এক কৃষক ও দোকানদার জানান, ‘তিনি এক নারকেল গাছের আড়ালে লুকিয়ে ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলো আরও শতাধিক রোহিঙ্গা। তাদের চোখের সামনেই সেনা সদস্যরা রোহিঙ্গাদের বাড়ি পুড়িয়ে দিতে থাকে। যারা পালানোর চেষ্টা করছিলো তাদের গুলি করছিল। তাদের তাণ্ডবে ধ্বংস হয় বৌদ্ধদের বাড়িও। সেনাদের অনেকের মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মতে, আগস্টে সহিংসতার পর বাংলাদেশে ৬ লাখ ৫৫ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে। গত বছর ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছিল, সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞে এক মাসেই ৬ হাজার ৭০০ রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছেন। রোহিঙ্গাকে বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠী বলে বিবেচনা করা হয়।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইন প্রদেশে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ বলে উল্লেখ করেছে। একে নিধনযজ্ঞ বলেছে যুক্তরাষ্ট্রও। এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে পড়েন দেশটির নেত্রী অং সান সু চি।

এদিকে,  যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ফিল রবার্টসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের এখনই বিষয়টি নিয়ে কঠোর হওয়া উচিত এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, এপি প্রতিবেদন দেখে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে এগিয়ে আসা উচিত।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ