মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
রাষ্ট্রের দায়িত্বে কে যাবেন সেই ফয়সালা আল্লাহ করবেন : জামায়াতে আমির শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান অধ্যাপক আখতার ফারুক রহ.-এর জীবন-কর্ম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হেফাজতের মহাসমাবেশ সফলে সাভারে উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত  কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের পর জামিন পেলেন মাওলানা মাসউদুল করীম ইজতেমা মাঠের মামলায় মাওলানা মাসউদুল করীম কারাগারে নারী সংস্কার কমিশনের ত্রুটি জানানো হলো ঐকমত্য কমিশনকে ভারতের আক্রমণ মোকাবেলায় পাকিস্তানের প্রস্তুতি

‘আদালত থেকে বের হয়ে গেলেন, তবুও হিজাব খুললেন না তিনি’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম

আদালত ছাড়লেন কিন্তু হিজাব খুললেন না তিনি। এই ঘটনা ইতালির একটি আঞ্চলিক আদালতের। শুনানি চলাকালে বিচারক জিয়ানকার্লো মোজজারেলি মুসলিম আইনজীবী আসমে বেলফাকির’কে তার মাথার হিজাব খুলতে বলেন। অন্যথায় তাকে আদালতের কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। তিনি বেরিয়ে আসেন তবুও হিজাব খুললেন না।

সোমবার বার্তা সংস্থা আনদোলু এজেন্সিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে আসমে বেলফাকির বলেন, ‘ওই মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকল আইনজীবিদের সঙ্গে আমিও আদালতের কক্ষে প্রবেশ করি। হঠাৎ বিচারক বলতে শুরু করল: ‘আপনি কি খুলতে পারেন?’ তিনি হিজাবের কথা উল্লেখ করেনি এবং আমাকে দিকে তাকায়ও নি। আমি ভেবেছিলাম তিনি কাউকে তার বা তাদের কোট খোলার জন্য বলছে। আমি কল্পনাও করতে পারছিলাম না যে তিনি আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছে। তারপর আমি তার দিকে তাকালাম এবং বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারলাম। আমি অবাক হয়ে গেলাম এবং তার কাছে জিজ্ঞেস করলাম, আমার হিজাবের কথা বলছেন?’

বিচারক বললো, ‘আমার কথা শেষ হওয়ার পরক্ষণই তিনি বললেন,  ‘হ্যাঁ, আপনি যদি এই আদালতে থাকতে চান, তবে আপনাকে বাধ্যতামূলকভাবে এটি অপসারণ করতে হবে।’

‘আমি জবাবে তাকে বলেছিলাম, ‘আমি এটা খুলতে যাচ্ছি না। আমি বাইরে যাচ্ছি।’ বলেন আসমে বেলফাকির।

তিনি জানান, বের হওয়ার জন্য যেই মাত্র তিনি দরজা খুলেছিলেন, সেই মুহূর্তে বিচারক উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই এটি করা হয়েছে।’

মুসলিম এই আইনজীবী বলেন, ‘এই প্রেক্ষাপটে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে বিচারকের মন্তব্য শুনেই সত্যিই আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছিল। শিক্ষানবিশ হিসেবে আমি সেখানে কেবল শিখতে গিয়েছিলাম- কিভাবে আইনের প্রয়োগ করা উচিত। আমার ধর্মের কারণে আমাকে অপমান করা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত আমি জানি না।’

‘আমি সেই বিচারক সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছি; তার কার্যবিবরণী এবং তার ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা। আমি নিশ্চিত যে, সে আর কখনো কাউকে তার হিজাব খুলে ফেলার জন্য বলবে না, কারণ হিজাব পরিধানের মাধ্যমে কেউ তার সংস্কৃতিকে অপমান করছে না।’, বেলফাকির কথা।

বেলফাকির বলেন, বিচারকের জানা উচিত যে, কেন তিনি হিজাব পরিধান করেছেন এবং এটি বিচারিক শুনানি বা শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে তার দক্ষতাকে প্রভাবিত করছে না।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটি অন্যদের নেতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করছে না। তাই এই ক্ষেত্রে, আইনের উচিৎ হবে মানুষকে ও তাদের ধর্মের স্বাধীনতা রক্ষা করা।’ সূত্র : ইকনা


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ