মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত রাষ্ট্রের দায়িত্বে কে যাবেন সেই ফয়সালা আল্লাহ করবেন : জামায়াতে আমির শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান অধ্যাপক আখতার ফারুক রহ.-এর জীবন-কর্ম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হেফাজতের মহাসমাবেশ সফলে সাভারে উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত  কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের পর জামিন পেলেন মাওলানা মাসউদুল করীম ইজতেমা মাঠের মামলায় মাওলানা মাসউদুল করীম কারাগারে নারী সংস্কার কমিশনের ত্রুটি জানানো হলো ঐকমত্য কমিশনকে

দেওবন্দের ফতোয়া, স্যোশাল মিডিয়ায় ছবি প্রকাশ নাজায়েজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মাদ
বিশেষ প্রতিবেদক

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেওয়া নাজায়েজ। তাই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়া কোনো ছবি দেওয়া যাবে না বলে ফতোয়া দিয়েছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের ইসলামী বিদ্যাপিঠ দারুল উলুম দেওবন্দ

দারুল উলুম দেওবন্দের হয়ে দারুল ইফতা ঘোষণা করেছে যে মুসলমান পুরুষ হোক অথবা মহিলা, তার স্যোশাল মিডিয়ায় ছবি দেওয়া উচিত নয়। শুধু নিজের ছবিই নয়, ফতোয়া অনুযায়ী পরিবারের কারও ছবিই দেওয়া যাবে না।

কয়েকদিন আগে এক ব্যক্তি দারুল ইফতার ফতোয়া বিভাগে চিঠি দিয়ে জানতে চান, তিনি এবং তার স্ত্রীর ছবি ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া ইসলাম বিরুদ্ধ কি না ? এর উত্তরে দারুল উলুম দেওবন্দ এই ফতোয়া দেয়।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির মুহতামিম (উপাচার্য) মুফতি আবদুল কাসিম নোমানি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, আলোকচিত্র বা ছবি তোলা নাজায়েজ।

শরিয়ার বিচারে পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্ট ব্যবহারের প্রয়োজন ছাড়া মুসলমানেরা ছবি তুলতে পারে না। তিনি বলেন, ভবিষ্যত্ প্রজন্মের কাছে স্মৃতি হিসেবে রাখার জন্য ছবি তোলা কিংবা বিয়ে বা অন্যান্য অনুষ্ঠান ভিডিও করার অনুমতি দেয় না ইসলাম।

দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগ দারুল ইফতা ফতোয়াটি দিয়েছে প্রকৌশলে স্নাতক একজন ছাত্রের এক প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে। ওই ছাত্র মুফতি নোমানিকে বলেন, তিনি আলোকচিত্রের প্রতি আগ্রহী এবং আলোকচিত্রী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান।

জবাবে মুফতি বলেন, ‘আলোকচিত্র অবৈধ এবং পাপ। হাদিসে এটিকে কড়াকড়িভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তুমি আলোকচিত্রের ওপর কোর্স কোরো না। তুমি প্রকৌশল-সংশ্লিষ্ট কোনো পেশা বেছে নাও।’

প্রকৌশলের ওই ছাত্রের উত্তর সংবলিত ফতোয়াটি দারুল ইফতা বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। ফতোয়াটি সমর্থন করেছে ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম ল পার্সোনাল বোর্ড’-এর সদস্য মুফতি আবুল ইরফান কাদরি রাজ্জাকি।

তিনি বলেন, ‘ইসলাম মানুষ ও প্রাণীর ছবি তোলা নিষিদ্ধ করে। কেউ এটা করলে তাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’

আরএম


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ