বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

পান্তা দিয়ে ইফতার করেন তারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : গাইবান্ধা পৌরসভার সুখনগর এলাকার ফুলমতি বেগম। বয়স সত্তর ছাড়িয়েছে। ফুলমতি বেগম শহরের আবাসিক এলাকার একটি বাসায় ঝিয়ের কাজ করেন। তা দিয়ে কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে সংসার চলে। রাতে অতিরিক্ত ভাত রান্না করে সেই ভাতে পানি দিয়ে রাখি। পরদিন সন্ধ্যায় মাগরিবের আজান দিলে (ইফতারে) পানি দেয়া সেই ভাত (পান্তা) লবণ, কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ দিয়ে খাই। এভাবেই ইফতার করে ফুলমতি বেগম ও তার স্বামী।

তিনি বলেন, দুইদিন প্রতিবেশিরা বুট, বুন্দিয়া, মুড়ি দিয়েছিল, তখন তা দিয়েই ইফতার করেছি।

দেড়শতক জমিতে ছোট্ট একটি টিনের ছাপড়াঘর তুলে সেখানে স্বামী আবু হোসেনকে নিয়ে থাকেন ফুলমতি বেগম। ঝড় শুরু হলে অন্যের বাড়িতে ছুটে যান। ঘরে টিনের ছিদ্র দিয়ে বৃষ্টির পানি তার ঘরের ভেতরে ঢোকে। ফুলমতি বেগমের স্বামী আবু হোসেন (৮০) আগে রিকসা চালাতেন। এখন বয়সের ভারে বেশির ভাগ সময় অসুস্থ থাকেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঠিকমত হাঁটতেও পারেন না তিনি।

ফুলমতি বেগমের এক মেয়ে এক ছেলে। বড় মেয়ে রাবেয়া ও ছোট ছেলে শাহিন মিয়ার বিয়ে হয়েছে। তারা আলাদা সংসার করেন। শাহিন মিয়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকসা চালান। বাবা-মায়ের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকেন শাহিন।

শাহিন মিয়া বলেন, ভাড়ায় অটোরিকসা চালাই। মালিকের টাকা ও রাস্তায় টোলসহ বিভিন্ন চাঁদার টাকা পরিশোধ করে সামান্য টাকা থাকে। তাতে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে সংসার ঠিকমতো চলে না। এরপর সুযোগ হলে বাবা-মাকে সহযোগিতা করি।

আবু হোসেন বলেন, এখন বয়স হয়েছে। কোনো কাজ করতে পারি না। বয়স্ক ভাতাও পাইনি। এখন স্ত্রীর টাকায় সংসার চলছে। টাকার অভাবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ডাক্তার দেখাতেও পারছি না। ফুলমতি বেগম বলেন, অন্যের বাড়িতে কাজ করে সামান্য টাকা পাই। সেই টাকায় আজকের দিনে সংসার চলেনা। সেখানে আবার খেজুর, বুট, বুন্দিয়া, মুড়ি, পেঁয়াজু ইত্যাদি ইফতারসামগ্রী কেনার টাকা কোথায় পাবো বাবা।

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ