শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ ।। ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২৬ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘একটি মশা আনো’- শব্দের পেছনে গা শিউরে ওঠার মতো বর্বরতা দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার আগামীকাল ড. ইউনূসের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক মায়ের চোখের সামনে ট্রাক চাপায় শিশুর মৃত্যু ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজনৈতিক দলগুলোকে শিশির মনিরের ১০ পরামর্শ ঝিনাইদহে ছাত্রশিবিরের কুরআন পাঠ প্রতিযোগিতা নোয়াখালীতে আন-নূর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত পদত্যাগ নয়, সংস্কার শেষে নির্বাচনী রোডম্যাপ চায় জনগণ: জমিয়ত ‘লাখাইয়ের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণের পথ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

হুজুগি ইসলামিস্টরা একটা ভুলচর্চা করেই যাচ্ছেন বলায় ও লেখায়!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শামসীর হারুনুর রশীদ

খুব তি একটা বিষয় আমাদের খেয়াল থেকে ছুটে যাওয়ার ফলে ধর্মদ্রুহী পুশুগুলো বহির্বিশ্বে নিজেদের অবস্থান পাকা করে নেয়!!

আমরা যাকে বা যাদেরকে নাস্তিক বলি, অমুসলিম বিশ্বে তাদেরকে বলা হয় সেক্যুলারিস্ট। আর সেক্যুলারিজম বর্তমান পৃথিবীর অত্যাধুনিক জীবদের মতবাদ! সেকারণে আমাদের দেশে হর-হামেশা দেখা যায় কিছু অপদার্থ সুশিল-কোশিলরা খুব ইচ্ছে করে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে সেক্যুলারিস্ট বা নাস্তিক সাজতে! তাঁরা অপেক্ষায় থাকে আমরা যেন তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করি, যাতে কথিত এই প্রগতিশীল জীবগুলো ইউরোপ-আমেরিকায় সিটিজেনশিপ হতে পারে কিংবা তাদের মনস্তাত্ত্বিক গোলামির মাধ্যমে কিছু টাকা উপার্জন করতে পারে।

মজার ব্যাপার হল আন্দোলনের পরে দেখা যায় তাঁরা ভুল স্বীকার করে একটা বিবৃতি দেয়! অদৃশ্য ইশারায় সরকার দেয় নিরাপত্তা আর ইহুদিবাদী হলুদ মিডিয়ার কল্যাণে হয়ে যায় দেশের বিশিষ্টজন!! এই হুজুগি ইসলামিস্টদের ভুলচর্চার কারণে আমাদের টার্গেট সফল হয়না! আমাদের আন্দোলন বারবার মার খায় উপযুক্ত শব্দ চয়ন, পরিভাষা নির্ণয় ও কৌশলের অভাবে? তা নিয়ে আমরা ভাবি বা পর্যালোচনা করি ক'জনে?

আমারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করি যে, এখন থেকে নাস্তিক শব্দ পরিহার করে ধর্মদ্রুহী বা মুরতাদ বলব এবং লিখব। কারণ ধর্মদ্রুহী মুরতাদদের পৃথিবীর কেউ বা কোন রাষ্ট্র পৃষ্ঠপোষকতা করতে চায় না? বিভিন্ন অমুসলিম দেশেও ধর্মদ্রুহীতা একটি অপরাধ এবং এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক আইনও আছে।

যেহেতু অমুসলিম বিশ্বে বর্তমানে সবচেয়ে বড় মতবাদের নাম সেক্যুলারিজম। তাই আমাদের দেশের সংবিধানে ধর্মনিরপক্ষেতার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়া আছে। ধর্মনিরপক্ষেতা কিন্তু নাস্তিকথা বা সেক্যুলারিজম নয়।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ