মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত রাষ্ট্রের দায়িত্বে কে যাবেন সেই ফয়সালা আল্লাহ করবেন : জামায়াতে আমির শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান অধ্যাপক আখতার ফারুক রহ.-এর জীবন-কর্ম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হেফাজতের মহাসমাবেশ সফলে সাভারে উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত  কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের পর জামিন পেলেন মাওলানা মাসউদুল করীম ইজতেমা মাঠের মামলায় মাওলানা মাসউদুল করীম কারাগারে নারী সংস্কার কমিশনের ত্রুটি জানানো হলো ঐকমত্য কমিশনকে

ফেইসবুকে নারীদের বন্ধু বানানো ও তাদের সাথে কথা বলার হুকুম কী?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

 

facebook_pageআজকাল ফেসবুকে নারী-পুরুষের চ্যাট বা কথা বলা সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার খুঁজে খুঁজে অনেকে মেয়েদের সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ করছেন। তবে অনেকেই দীনি উদ্দেশ্যে বন্ধুত্ব করে থাকেন। এসবের ক্ষেত্রে শরিয়তের হুকুম কী?

ফ্রেন্ডশীপ মানে বন্ধুত্ব। যা একে অপরের প্রতি মোহাব্বত ও ভালবাসার নিদর্শন। কিন্তু ফেইসবুকের যে ফ্রেন্ডশীপ হয়ে থাকে, এর সাথে সত্যিকার বন্ধুত্বের মূলত কোন সম্পর্ক নেই। এটি কেবলি একটি বাহ্যিক বন্ধুত্ব।

তবে অনেক সময় তা সত্যিকার বন্ধুত্বেও রূপ নেয়।

আমাদের ফেইসবুককে দেখতে হবে অফলাইনের জীবনের অবস্থা অনুপাতে। যেমন অফলাইনে বেগানা নারীদের সাথে অহেতুক কথা বলা, তাদের সাথে দেখা করা, তাদের ছবি দেখা হারাম। তেমনি অনলাইনের বিধানও তা’ই হবে।

যেমন অফলাইনে বেগানা নারীদের সাথে প্রয়োজনীয় কথা বলা জায়েজ, দ্বীনী দাওয়াত দেয়া জায়েজ, কিন্তু আকৃষ্ট হবার আশংকা থাকলে কথা বলা বৈধ নয়। তেমনি অনলাইনেও বেগানা নারীদের দ্বীনী দাওয়াত দেয়া, ও প্রয়োজনীয় কথা বলা জায়েজ আছে। কিন্তু ছবি দেখা অপ্রয়োজনীয় কথা বলা, আকৃষ্ট হবার শংকা থাকলে বন্ধুত্ব করা ও চ্যাটিং করা কোনটিই বৈধ হবে না।

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}

সূত্র: আহলে হক মিডিয়া উত্তর লিখনে লুৎফুর রহমান ফরায়েজী


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ