শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বিদেশি সংস্কৃতি চাপানোর চেষ্টা করবেন না: মুফতি ফয়জুল করিম জমিয়তের জাতীয় কাউন্সিলের ৭ নতুন প্রস্তাবনা ‘আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ব্যতিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সংহতি বজায় রাখা সম্ভব নয়’ গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার এবার যে ২০ ভাষায় অনুবাদ করা হবে হজের খুতবা সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ ৫ বছরের পক্ষেই জামায়াত স্বামীর টাকায় হজ করলে ফরজ আদায় হবে? ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ ৩০ ফিলিস্তিনি, নেই উদ্ধারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পেহেলগামে হামলার স্বচ্ছ তদন্তের জন্য পাকিস্তান প্রস্তুত: শাহবাজ শরীফ জমিয়তের সভাপতি আল্লামা ওবায়দুল্লাহ ফারুক মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি

সারাবিশ্বে ইলমে নববির শাস্ত্রবিদ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতেন আল্লামা আজমি: মাওলানা মাহফুজুল হক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

mahfuzদিদার শফিক: আল্লামা আব্দুল হক আজমি রহ. । দারুল উলুম দেওবন্দের শায়খে সানি। ভারত উপমহাদেশের অসংখ্য আলেমের ইলমিগুরু তিনি । শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৮টায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন। তার মৃত্যুতে আলেম সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি শাস্ত্রীয়বিদ্যায় পারদর্শী ও পণ্ডিত ব্যক্তি এমন জনশ্রুতি রয়েছে আলেম সমাজে। তার স্মৃতিচারণমূলক অভিব্যক্তি জানতে কথা হয় তারই শিষ্য জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া প্রিনিসপাল, মাওলানা মাহফুজুল হকের সঙ্গে।

আল্লামা আজমির রহ. স্মৃতিচারণ করে মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, হুজুরের সাথে আমার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গভীর সম্পর্ক ছিল। তিনি আমার উস্তাদ। বুখারি ২য় খণ্ড পুরোটাই আমি তার কাছে পড়েছি।এছাড়া হাদিসে মুসালসালাতের দরসও পেয়েছি তার কাছে। বছরের শেষে দেওবন্দে তিনি মুসালসালাতের দরস দিতেন।

আমি ১৯৯২-১৯৯৩ সনে সেখানে পড়েছি। আব্বাজান শাইখুল হাদিস আজিজুল হক রহ. কে হুজুর খুব মুহাব্বত করতেন। জামিয়া রাহমানিয়াকে মুহাব্বত করতেন। তিনি বাংলাদেশের সফরে জামিয়া রাহমানিয়ায় আসতেন। নিজ থেকে স্বেচ্ছায়ও জামিয়া রাহমানিয়ায় আসতেন।এবছর রমজানে বাংলাদেশ সফরে উত্তরায় সর্বশেষ তার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়। তিনি আমাকে কাছে টেনে আন্তরিকতার সাথে অনেক কথা বলেছেন। তার পাশে বসে তার সঙ্গে খেয়েছি। উম্মতের ফিকির নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল সেদিন এগুলো এখন খুব মনে পড়ছে। তিনি দরদি মুরব্বি ও খুব স্নেহময়ী উস্তাদ ছিলেন।

আল্লামা আব্দুল হক আজমি রহ.ব্যক্তি ও শিক্ষক হিসেবে কেমন ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল্লামা আব্দুল হক আজমি আপাদমস্তক ইলমি ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বেশ আমলদার মানুষ ছিলেন। তবে তার মাঝে সরলতা ছিল অনেক। তিনি বেশ সরল ও সাদামাঠা স্বভাবের অধিকারী ছিলেন।

উম্মতের কল্যাণে তার ফিকির ও ভাবনা কেমন ছিল এমন প্রশ্নের উত্তরে মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, হুজুর তো ইলমি মানুষ। ইলমে নববিকে সঠিকভাব বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়াই ছিল প্রধান ফিকির। উম্মতের ফিকির থেকেই তিনি অসুস্থ থাকার পরেও বিভিন্ন দেশ সফর করতেন।বাংলাদেশে আসতেন। তার সফর কোন প্রমোদভ্রমণ ছিল না। উম্মতের ফায়দা জন্যই সফর করতেন।

মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, আল্লামা আব্দুল হক আজমি রহ. ছাত্র ও আলেমদের উদ্দেশে বলতেন, জ্ঞানের গভীরতা খুব প্রয়োজন। ‘ফন্নি শখছিয়্যত’ বা বিষয়ভিত্তিক শাস্ত্রবিদ হওয়ার জন্য তিনি বিশেষভাবে তাগিদ দিতেন। ইলমি যোগ্যতাকে তিনি বিশেষভাবে মূল্যায়ন করতেন। তাই ছাত্র ও আলেমরা শাস্ত্রবিদ হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য জ্ঞানের শাখায়ও পারদর্শী হয়ে ওঠুক এটাই ছিল তার চেষ্টা-সাধনা ও আলেমপ্রজন্মের প্রতি উপদেশ।

আরআর

আরো পড়ুন: আল্লামা আজমি রহ. এর জানাযা শনিবার বাদ জোহর

তুমি রবে হৃদয়ে হৃদয়ে

দেওবন্দের আল্লামা আজমী’র ইন্তেকাল


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ