শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বিদেশি সংস্কৃতি চাপানোর চেষ্টা করবেন না: মুফতি ফয়জুল করিম জমিয়তের জাতীয় কাউন্সিলের ৭ নতুন প্রস্তাবনা ‘আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ব্যতিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সংহতি বজায় রাখা সম্ভব নয়’ গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার এবার যে ২০ ভাষায় অনুবাদ করা হবে হজের খুতবা সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ ৫ বছরের পক্ষেই জামায়াত স্বামীর টাকায় হজ করলে ফরজ আদায় হবে? ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ ৩০ ফিলিস্তিনি, নেই উদ্ধারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পেহেলগামে হামলার স্বচ্ছ তদন্তের জন্য পাকিস্তান প্রস্তুত: শাহবাজ শরীফ জমিয়তের সভাপতি আল্লামা ওবায়দুল্লাহ ফারুক মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি

লংমার্চে বাধা, সরকারের পরিকল্পনা কী?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পলাশ রহমান
সাংবাদিক

palash_rahman4ইসলামী আন্দোলনের মিয়ানমার অভিমুখী লংমার্চ করতে দেয়নি সরকার, কিন্তু রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র অবরোধ করে সমাবেশ করতে দিয়েছে। কারণ কী? লংমার্চ বন্ধ করে ঢাকায় সমাবেশ করানো হলো কেনো? এই সমাবেশ দিয়ে সরকার কি অর্জন করতে চায়? সরকার কি বিদেশিদের দেখাতে চায় যে বাংলাদেশে বিরোধী দল আছে, তারা বড় বড় সমাবেশ করে, এমন কিছু? নাকি দিল্লি থেকে বিশেষ কোনো নির্দেশ এসেছে?

রোহিঙ্গা বিষয়ে হাসিনা সরকারের নীতি কী? তারা আসলে কী চায়? বিভিন্ন সূত্র বলে বাংলাদেশে ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে, অথচ সরকারের মন্ত্রী বলেন, দুই লাখ। সরকারের কাছে রোহিঙ্গাদের তালিকা আছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার। এমন হযবরল অবস্থা কেনো?

সরকার ঘোষণা দিয়েছে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না, অথচ দেদারসে ঢুকছে। তাদের স্রোত ঠেকাতে সরকারের খুব একটা চেষ্টা আছে বলে মনে হয় না। তাহলে ঢুকতে না দেয়ার এই ঘোষণা কেনো? বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশকে সমালোচনার পাত্রে পরিণত করার কারণ কী? সরকার কেনো মিয়ানমারের উপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে না? আন্তর্জাতিক জনমত তৈরির চেষ্ট করে না কেনো? মুসলিম দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে আলোচনা করে না কেনো?

মালেশিয়ার সরকার যদি সমাবেশ করতে পারে, ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি যদি আলোচনার জন্য আসতে পারে, তবে বাংলাদেশ পারে না কেনো? রোহিঙ্গা নির্যাতন বার্মার রাজনৈতিক সমস্যা, কিন্তু এর দায় কেনো নেবে বাংলাদেশ? এদের চাপ নেবে কেনো বাংলাদেশ? বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ কেনো এটা নিয়ে প্রোপাগাণ্ডা করে না?

আসলে আমাদের সরকার চায় কি? ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতের মতো বার্মাকেও তোয়াজ করার নীতি গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা? রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেক বিদ্রোহী আছে, যারা আরাকানের স্বাধীনতা চায়। কাল যদি বাংলাদেশের রোহিঙ্গা এবং বার্মার রোহিঙ্গা এক হয়ে আরাকান এবং চট্রগ্রাম মিলিয়ে স্বাধীনতা চায়, অামাদের সরকারের বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ করে, তখন কী করবে সরকার?

এসব বিষয়ে কি সরকারের কোনো সুষ্ঠু পরিকল্পনা আছে? রোহিঙ্গাদের একটা অংশকে ব্যবহার করছে সরকারি দলের নেতা এমপিরা। তারা ওদের ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করাচ্ছে। এ বিষয়েও সরকার নীরব, কেনো? এই নীরবতা যে এক সময় বিষ ফোঁড়ায় পরিণত হতে পারে সে খবর কি সরকারের কাছে আছে? নাকি ক্ষমতা রক্ষা করাই এখন তাদের একমাত্র কাজ?

ইসলামী আন্দোলনের নেতা মুফতি ফয়জুল করিমের একটা কথা ভালো লেগেছে, রোহিঙ্গারা যদি বার্মার নাগরিক না হয় তবে আরাকানও বার্মার অংশ নয়। আরাকান রাজ্য ছেড়ে দিতে হবে বার্মাকে, নয়তো বাংলাদেশ ওই অংশ দখল করে নিতে বাধ্য হবে।

লেখক: প্রডিউসার, রেডিও বেইস ইতালি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ