বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

আল্লাহ করিম মসজিদের ২০ কোটি টাকা লুট

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

thanaআওয়ার ইসলাম: আল্লাহ করিম জামে মসজিদের বিগত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাদের মসজিদের দোকান বরাদ্দ ও ভাড়া বাবদ ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর জানান, মসজিদের ওয়াকফ এস্টেটের পক্ষে কাঁটাসুরের জহির হোসেন গত ১৫ নভেম্বর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।

জহিরের অভিযোগ, ২০০৫-২০১৬ মেয়াদে মসজিদ কমিটিতে থাকার সময় আব্দুল কাদের ওই টাকা আত্মসাত করেছেন।

মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে ওয়াকফ এস্টেটের ওই মসজিদের নিচতলায় ১০৪টি দোকান রয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার কিছু অংশ বাণিজ্যিক কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।

এসব দোকান ও প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ দেওয়ার নাম করে আব্দুল কাদের পৌনে ২ কোটি টাকা এবং দোকান থেকে আসা ভাড়াসহ প্রায় ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।

জহির বলছেন, কাদেরের স্বাক্ষরে দোকান বরাদ্দ ও ভাড়া আদায় হলেও তা মসজিদ তহবিলে জমা পড়েনি। স্বাক্ষরসহ ওই লেনদেনের প্রমাণ পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে।

কাদের ওয়াকফ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই নিয়ম বহির্ভুতভাবে প্রতিটি দোকানকে ‘৯৯ বছরের জন্য লিজ দেন’ বলেও মোহাম্মদপুর থানায় করা মামলায় বলা হয়েছে।

জহির জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ ওই মসজিদ কমিটি বাতিল করে ওয়াকফ কর্তৃপক্ষ তাকেসহ কয়েকজনকে দায়িত্ব দিয়েছে। আর ওয়াকফ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই তিনি এ মামলা করেছেন।

এদিকে মামলার আসামি আব্দুল কাদের সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছিলেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী আন্না খানম কলি জানিয়েছেন।

“আসামি গোপনে আদালতে এসে জামিনের আবেদন করছে জানতে পেরে আমরা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের বিরোধিতা করি। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা পরে তাদের আবেদন ‘নজিরবিহীনভাবে’ উঠিয়ে নিয়ে যান।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাদেরের আইনজীবী আইয়ুবুর রহমান বলেন, ‘শুনানির পর আমরা আদেশের অপেক্ষায় ছিলাম। আদালত আদেশ না দেওয়ায় আমরা নথি ফেরত নিয়েছি। আদালত চাইলে নথি ফেরত দিতে পারে’  বলে জানান তিনি।

কাদের আত্মগোপনে থাকায় এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

ওসি জামাল বলেন, ‘এরইমধ্যে কয়েকবার তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

সূত্র: বিডিনিউজ

এবিআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ