মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত রাষ্ট্রের দায়িত্বে কে যাবেন সেই ফয়সালা আল্লাহ করবেন : জামায়াতে আমির শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান অধ্যাপক আখতার ফারুক রহ.-এর জীবন-কর্ম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হেফাজতের মহাসমাবেশ সফলে সাভারে উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত  কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের পর জামিন পেলেন মাওলানা মাসউদুল করীম ইজতেমা মাঠের মামলায় মাওলানা মাসউদুল করীম কারাগারে নারী সংস্কার কমিশনের ত্রুটি জানানো হলো ঐকমত্য কমিশনকে

রুকু না পেলে আবার নতুন করে তাকবীর বলে হাত বাঁধা ভুল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

salahআওয়ার ইসলাম: কিছু মানুষকে দেখা যায়, ইমাম রুকুতে থাকা অবস্থায় তাকবীরে তাহরিমা বলে নামাযে শরীক হয়। সে রুকুতে যেতে যেতে বা যাওয়ার আগে যদি ইমাম রুকু থেকে উঠে যান তাহলে আবার নতুন করে তাকবীর বলে হাত বাঁধে। সে হয়ত মনে করে, রুকু যেহেতু পেলামই না নতুন করে আবার শুরু করা যাক। বা এ অবস্থায় কী করবে ভেবে পায় না, ফলে নতুন করে আবার তাকবীর বলে হাত বাঁধে। এটি একটি ভুল পদ্ধতি।

মুক্তাদী রুকুতে যাওয়ার আগেই যদি ইমাম রুকু থেকে উঠে যান তাহলে দাঁড়ানো অবস্থায়ই ইমামের সাথে শরীক হবে এবং ইমামের অনুসরণ করবে, নতুন করে তাকবীর বলে হাত বাঁধবে না।

আর যদি এমন হয় যে, ইমাম রুকু থেকে উঠে গিয়েছেন আর মুক্তাদী রুকু পাননি ঠিকই কিন্তু রুকুতে চলে গিয়েছেন; তাহলে তার করণীয় হল, রুকু থেকে উঠে যাওয়া এবং ইমামের অনুসরণ করা। (ইমাম যে অবস্থায় আছেন সে অবস্থায় ফিরে আসা।) আর যেহেতু সে ইমামকে রুকুতে পায়নি তাই সে রাকাতও পায়নি। কারণ, রাকাত পাওয়ার জন্য ইমামকে রুকুতে পাওয়া শর্ত।

এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ও লক্ষ্য করা যায়, রুকু না পেলে কিছু মানুষ জামাতে শরীক না হয়ে এমনিই দাঁড়িয়ে থাকে। ইমাম যখন চলমান রাকাত শেষ করে পরবর্তী রাকাতের জন্য দাঁড়ান তখন সে নামাযে শরীক হয়। এ পদ্ধতিটিও ঠিক নয়।

হাদীস শরীফে এসেছে, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

مَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا، وَمَا فَاتَكُمْ فَاقْضُوا.

অর্থাৎ তোমরা ইমামকে যে অবস্থায় পাও নামাযে শরীক হয়ে যাও, আর যতটুকু ছুটে গেছে তা (জামাত শেষে) আদায় কর। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৩৬

সুতরাং ইমামকে যে অবস্থায়ই পাওয়া যাক নামাযে শরীক হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, ইমামকে রুকু অবস্থায় পাক বা রুকু থেকে দাঁড়ানো অবস্থায়- উভয় ক্ষেত্রে হাত বাঁধতে হবে না। বরং দু’হাত তুলে তাকবীরে তাহরিমা বলে হাত না বেঁধে রুকুর তাকবীর বলে রুকুতে যাবে বা ইমাম দাঁড়িয়ে গেলে হাত না বেঁধে ইমামের সাথে নামাযে শরীক হবে।

সূত্র: আল কাউসার

এফএফ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ