মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত রাষ্ট্রের দায়িত্বে কে যাবেন সেই ফয়সালা আল্লাহ করবেন : জামায়াতে আমির শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান অধ্যাপক আখতার ফারুক রহ.-এর জীবন-কর্ম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হেফাজতের মহাসমাবেশ সফলে সাভারে উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত  কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের পর জামিন পেলেন মাওলানা মাসউদুল করীম ইজতেমা মাঠের মামলায় মাওলানা মাসউদুল করীম কারাগারে

পবিত্র হজে পাথর নিক্ষেপের সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

jamarat-2আওয়ার ইসলাম: গত বছর হজে শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটায় এ বছর কাজটিতে গুরুত্ব দিচ্ছে সৌদি। জামরায পাথর নিক্ষেপ করতে গিয়ে যাতে আর কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পুনর্নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে পাথর নিক্ষেপের সময়সূচি।

১০ জিলহজে শুধু বড় জামরায় (শয়তান) কঙ্কর নিক্ষেপ এবং ১১ ও ১২ জিলহজে ছোট, মধ্যম ও বড় এই তিন জামরাতেই (শয়তানকে) পাথর মারা ওয়াজিব। শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করা পবিত্র হজের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

নতুন সময়সূচি অনুযায়ী ১০ জিলহজ তারিখে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত জামারায় পাথর নিক্ষেপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর ১১ জিলহজে স্থানীয় সময় বিকাল ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পাথর নিক্ষেপ করা যাবে না। ১২ জিলহজে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত পাথর নিক্ষেপ করা যাবে না।

আরব নিউজে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মক্কা কর্তৃপক্ষের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, তুর্কি, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও সৌদি আরবের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

বৈঠক শেষে আন্ডার সেক্রেটারি হুসেইন আল শরিফ বলেন, হজ একটি জাতীয় মিশন। এটা নিরাপদ ও নিরুদ্বিগ্ন করতে প্রত্যেককে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেছেন, এবার আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো- হজযাত্রীদের সুষ্ঠুভাবে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করে নিরাপদে তাদের তাঁবুতে ফেরত যাওয়া নিশ্চিত করা। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।

হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ৮ জিলহজ। এদিন হাজিরা মিকাত থেকে ইহরাম বেঁধে মক্কার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। তারপর তাওয়াফে কুদুমের মাধ্যমে শুরু হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা।

তওয়াফে কুদুম করার পর হাজিরা মিনায় অবস্থান করেন। যেহেতু ৮ জিলহজে তওয়াফে কুদুমের ক্ষেত্রে মক্কায় বেশি ভিড় হয়, তাই ওই দিন নামাজের পর ১ ঘন্টা তাওয়াফ না করার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি বেশি লোক এক সঙ্গে তাওয়াফ না করা ও তাওয়াফের সময় অতিরিক্ত কিছু বহন না করতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ