সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বৈরুতে ইসরাইলি ড্রোন হামলা, বহু হতাহতের আশঙ্কা ‘পাকিস্তানের পক্ষে ২ কোটি শিখ’, ভারতকে হুঁশিয়ারি খালিস্তানি নেতার জামায়াতের সাথে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হজসেবায় অত্যাধুনিক মোবাইল অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ চালু হচ্ছে সোমবার  নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন তসলিমা নাসরিনের দোসর : আমিরে মজলিস দাওরায়ে হাদিস পাসে চাকরি দিচ্ছে বোনাফাইড টেক্সটাইল ইসলামি দলগুলোর নির্বাহী কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা দরকার সংস্কার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না : খেলাফত আন্দোলন ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়ার যে সূচনা হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে’ ‘ইসলামীবিরোধী নারী কমিশন বাতিল করতে হবে’

মৃত মানুষের দেহ খাওয়া ইয়ানোমামি গোষ্ঠী!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

yamami

আওয়ার ইসলাম: মানবসমাজে কত রকমের বিচিত্র রীতি যে প্রচলিত রয়েছে এ যুগেও! যে সমাজ বা সংস্কৃতিতে এই সব রীতি প্রচলিত, তারা বাদে অন্যদের কাছে এই রীতি হয়তো অস্বাভাবিক, অসভ্য বলে প্রতিপন্ন হয়।

কিন্তু যারা এই রীতি পালন করেন, তারা তা করে থাকেন আন্তরিক নিষ্ঠার সঙ্গে। ইয়ানোমামি সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত মৃত মানুষের দেহ থেকে স্যুপ তৈরি করে খাওয়ার রীতি তেমনই একটি প্রথা।

ভেনেজুয়েলা আর ব্রাজিলের সীমারেখা বরাবর আমাজনের অরণ্যে প্রাচীন ইয়ানোমামি সম্প্রদায়ের বাস। মৃতদেহ সৎকারের এক প্রাচীন রীতি এঁরা আজও টিকিয়ে রেখেছেন।

ইয়ানোমামিরা বিশ্বাস করেন, মৃত্যু মানবজীবনের কোনও স্বাভাবিক অঙ্গ নয়। বরং প্রতিস্পর্ধী কোনও গোষ্ঠীর অশুভ শক্তির প্রভাবে ঘটে মৃত্যু।

সেই শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলাই সেক্ষেত্রে কর্তব্য। সেই উদ্দেশ্যেই মৃতদেহ সৎকারের এক অদ্ভুত রীতি পালন করেন এই মানুষগুলো।

কোনও মানুষের মৃত্যু হওয়ার পরে মৃতদেহটি ফেলে আসা হয় জনবসতির অদূরবর্তী অগভীর জঙ্গলে। ওই অবস্থায় ৩৫-৪০ দিন ফেলে রাখা হয় দেহটিকে।

প্রাকৃতিক নিয়মে দেহটি ক্ষয়প্রাপ্ত হলে সংগ্রহ করে আনা হয় অবশিষ্ট দেহাংশ এবং হাড়গুলি। তারপর সেগুলি দাহ করা হয়। তারপর সেই ভস্ম এক ধরনের স্যুপের সঙ্গে মিশিয়ে পান করেন গোষ্ঠীর সকলে।

ইয়ানোমামিদের বিশ্বাস, এইভাবে মৃত মানুষদের ভস্মাস্থি খেয়ে নিলে সেইসব মানুষের আত্মারাও তাদের সঙ্গে থেকে যান। শুধু তাই নয়, সেইসব আত্মা এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়ে যায়।

সেই সঙ্গে, ইয়োনামামিদের বিশ্বাস, সঞ্চারিত হয় সেইসব মানুষের জ্ঞান-প্রজ্ঞা-ক্ষমতাও। পরিণামে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে সম্পূর্ণ গোষ্ঠীটিই। মৃত পূর্বপুরষের আত্মাকে এরা ক্ষতিকর বলে মনে করেন না।

বরং তাদের সহযোগিতাই এদের এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে শক্তি জোগায়। অতীতের ভিত্তির উপরে ভবিষ্যতকে নির্মাণ করার এই অদ্ভুত কৌশল আজও প্রচলিত রয়েছে ইয়ানোমামিদের মধ্যে।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ