সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
৩ মে’র মহাসমাবেশ সফল করতে বগুড়ায় হেফাজতের মতবিনিময় সভা ২৭ খণ্ডের ‘ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ’ অনুবাদ করাচ্ছে সরকার ভারতের প্রসিদ্ধ আলেম স্যাইয়িদ আকীল মাজাহিরির ইন্তেকালে জমিয়তের শোক মহেশখালীতে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত বহু বিবাহ: ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি ও সমকালীন বাস্তবতা সুদানে কি রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারবে পক্ষগুলো? ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সাইয়িদ মুহাম্মাদ আকিল মাজাহিরি আর নেই আগামী মাসের শুরুতেই শেখ হাসিনার বিচার : প্রধান উপদেষ্টা বজ্রপাতে প্রাণ গেল মাদরাসা শিক্ষকের ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে: নূরুল ইসলাম বুলবুল

'মসজিদ বন্ধ করা মৌলবাদী হিন্দুদের ভয়াবহ চক্রান্ত'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

al-olama-1স্টাফ রিপোর্টার : মসজিদ বন্ধ করা মৌলবাদী হিন্দুদের ভয়াবহ চক্রান্ত মন্তব্য করে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। আজ এক বিবৃতিতে ওলামা লীগের নেতারা জানায়, শতকরা ৯৫ শতাংশ মুসলমানের এদেশে মসজিদ নির্মাণে হিন্দুদের বাধা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।

গেন্ডারিয়ায় অবিলম্বে মুসলমানদের মসজিদ খুলে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ওলামা লীগ মসজিদ বন্ধের চক্রান্তে জড়িতদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি করে।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদকে ‘কট্টর সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী সংগঠন’ উল্লেখ করে বিবৃতিদাতারা প্রশাসনের মাধ্যমে গেন্ডারিয়ায় মসজিদ বন্ধের প্রতিবাদ জানান।

বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি পীরজাদা পীর আখতার হোসেন বুখারী ও ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ক্বাজী মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী এবং সহসভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী হাবীবুল্লাহ রূপগঞ্জী ও দফতর সম্পাদক মাওলানা শওকত আলী শেখ এ বিবৃতি পাঠান।

বিবৃতিদাতারা বলেন, ভারতে কোথাও কোন মসজিদ হলে সেটাকে মন্দিরের জমি বলে মসজিদ নির্মাণ বন্ধ করে দেয় মৌলবাদী হিন্দুরা। ২০১০ সালে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা রোডে, ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাসূলপুরে, ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলায়, গত মাসে পশ্চিমবঙ্গের মঙ্গলকোটে উগ্র মৌলবাদী হিন্দুরা মসজিদ নির্মাণের স্থলকে মন্দিরের জমি দাবি করে মসজিদ নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিদাতারা বলেন, গেন্ডারিয়াতেও তারা একই চক্রান্ত করেছে। স্থানীয় মুসুল্লিরা সরকারি জমি লিজ নিয়ে মসজিদ নির্মাণ করলেও মৌলবাদী হিন্দুরা সেটাকে মন্দিরের জমি বলে মসজিদ নির্মাণে বাধা দেয়। কিন্তু মন্দিরের জমির কোন কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি। তারপরও গেন্ডারিয়ার ওসি মিজান হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের করা জিডি তদন্ত না করে বন্দুক উচিয়ে মুসুল্লিদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। যা ন্যাক্কারজনক এবং এদেশের ৯৫ ভাগ মুসলমানের উপর আঘাতের শামিল।

তারা বলেন, সরকারি জমিতে লিজ নিয়ে মসজিদ নির্মাণ আইনত অবৈধ নয়। তাহলে ঢাকা জেলা প্রশাসন কিভাবে মসজিদে নামাজ বন্ধ করলো? পার্শ্ববর্তী অবৈধ মন্দির তো বন্ধ করলো না। প্রশাসনের হিন্দুত্ববাদ তোষণ মেনে নেয়া যায়না। প্রশাসনের হিন্দুত্ববাদ তোষণ বন্ধ করতে হবে। প্রশাসনকে অবিলম্বে মসজিদ বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি মিথ্যা অভিযোগকারী মৌলবাদী হিন্দুদের গ্রেফতার করতে হবে। মুসুল্লিদের উপর হামলাকারী ওসি মিজানকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার দাবিও করে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ।

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম/ওএস


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ