সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে: নূরুল ইসলাম বুলবুল প্রস্তুতি সম্পন্ন, রাতে শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট ফ্রান্সে মসজিদে ঢুকে মুসল্লিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা ভারতীয় মুসলিমদের পাকিস্তানিদের সঙ্গে তুলনা উচিত নয়: বিজেপি বিধায়ক মুফতী ফয়জুল করীমের মেয়রের চেয়ারে বসা আটকে আছে কোথায়? মোদি ইসরায়েলের পক্ষে, ইসলাম-মুসলমানের শত্রু: মাওলানা ফজলুর রহমান কিশোরগঞ্জে হাওরে ইসলামী আন্দোলনের শরবত বিতরণ নোয়াখালীতে ফিল্মি স্টাইলে শহীদ রিজভীর ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম ফটিকছড়িতে হেফাজতে ইসলামের মিছিল-সমাবেশ জাতীয় কাউন্সিল সফল হওয়ায় কেন্দ্রীয় জমিয়ত নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়েছে ইউকে জমিয়ত

৯ তরুণের মূল্যায়ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

7889069_orig copyউপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ হাদিসবিশারদদের অন্যতম শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহ.। বুখারি শরিফই ছিল তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। কুরআনের তাফসিরও পড়িয়েছেন বহুবছর। প্রায় ষাট বছর তিনি হাদিসের খেদমত করেছেন। নবীজির মদীনার সঙ্গে ছিল তাঁর হৃদয়ের সম্পর্ক। আরবিতে দীর্ঘ কাছিদা লিখেছেন নবীজির শানে। ২০১২ সালে ১৯ রমজান তিনি পৃথিবী ত্যাগ করেছেন। রেখে গেছেন হাজারো শীষ্য, ভক্ত, অনুরাগী ও নববী বাগানের যোগ্য উত্তরসূরি। তাকে এ সময়ের ৯ তরুণ বলেছেন তাদের কথা। সংগ্রহ করেছেন তাজিম সারোয়ার

.
তার অভাব সহজে পূরণীয় নয়
মুহিব খান, কবি, শিল্পী, সাংবাদিক ও আলেম
muhib khanবাংলাদেশের কিংবদন্তিতুল্য হাদিসবিশারদ শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহ. ছিলেন একজন বলিষ্ঠ আলেম, লেখক, অনুবাদক, রাজনীতিবীদ, লাখো আলেমের অভিভাবক এবং কোটি কোটি তৌহিদি জনতার দীনি রাহবার। এদেশের ইসলামি ঐক্য ও জাগরণের পথে তিনি ছিলেন উজ্জ্বল বাতিঘর। তার সাফল্যের মাঝে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ পূনঃনির্মানের লক্ষ্যে ভারতের অযোধ্যা অভিমুখে লাখো মানুষের লংমার্চের সফল নেতৃত্ব জাতির ইতিহাসে অমর করে রাখবে। তার অবর্তমানে বাংলাদেশের আলেমসমাজ ছায়াহীন। তৌহিদি জনতাকে এক্যবদ্ধ করে বাতিল ও তাগুত বিরোধী গণ আন্দোলন গড়ে তোলার মতো নেতৃত্বের আজ বড়ই অভাব। তিনি নেই বলেই আজ ইসলাম ও শরীয়াহ বিরোধী অপতৎপরতায় মেতে ওঠার সাহস পায় শয়তানের দোসররা। বিদেশি নর্তকীর নৃত্যে অপবিত্র হতে পারে কোটি মুসলমানের রাজধানী মসজিদের শহর ঢাকা। মুসলিম উম্মাহর ক্রান্তিলগ্নে তার অভাব সহজে পূরণীয় নয়।
শায়খুল হাদিস ছাত্র জীবনে আমার নানা মাওলানা আশরাফ আলীর সহপাঠী ছিলেন। এ জন্য আমি তাকে নানা বলেই ডাকতাম। তিনি আমাকে আদর এবং মূল্যায়ন দুটোই করতেন। আমার সাংস্কৃতিক জীবনের প্রথম দিকে তিনি নিজ উদ্যোগে জামিয়া রহমানিয়ার হলরুমে বেশ আয়োজন করে দীর্ঘ সময় আমার কবিতা ও সঙ্গিত উপভোগ করেছিলেন, উৎসাহ দিয়েছিলেন এবং দোয়া করেছিলেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতে উত্তম স্তরে আদরে ও যতেœ রাখুন।

একজন অসাধারণ নির্লোভ প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ আল্লামা
সৈয়দ শামসুল হুদা, সহকারী অধ্যাপক, ফরিদপুর হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
hudaশাইখুল হাদীস আজিজুল হক রহ. কে যতবার দেখেছি তার প্রতিটিই ছিল রাজনৈতিক ময়দানে। বাবরী মসজিদ পুনঃ প্রতিষ্ঠার দাবীতে অনুষ্ঠিত লংমার্চ থেকে শুরু করে ফরিদপুর আশরাফুল উলুম মাদ্রাসায়, আলফাডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ডে রাজনৈতিক জনসভায়, মুফতি শহীদ সাহেবের নির্বাচনী প্রচারণায় হুজুরের সাথী হওয়ার সুযোগ হয়েছে। একজন পুর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে যতগুলো ভালো গুণের সমাবেশ সম্ভব সবগুলোই ছিল তার মধ্যে। যেমনি দূরদর্শিতা ছিল, প্রজ্ঞা ছিল, নীতির প্রতি অবিচলতা ছিল তেমনি তিনি ছিলেন একেবারেই নির্লোভ মানুষ। মাটির মানুষ।
তাঁর ভিতরে মানুষের প্রতি, দ্বীনের প্রতি ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম। তিনি আমাদের প্রেরণা। চিন্তা-চেতনার উৎস। একজন ব্যক্তির মধ্যে এতগুলো গুণের সমাহার এ যুগে প্রায় অসম্ভব হলেও মাওলানা মামুনুল হক সাহেবের মধ্যে সবগুলো গুণের কিছু কিছু দেখা যাচ্ছে। হয়তোবা তাঁর মাধ্যমেও এ শূন্যতা পুরণ সম্ভব।

প্রথম কাছে থেকে দেখা
গাজী মুহাম্মাদ সানাউল্লাহ, মিডিয়া আলোচক ও মাদরাসা পরিচালক
gaji sanaullah২০০৩ সালের কথা। দাঁড়িয়ে আছি ভৈরব শহরস্থ জিল্লুর রহমান মিলনায়তনের সামনে। ভিতরে চলছে সিরাতুন্নাবী সা: সম্মেলন। প্রধান অতিথি শাইখুল হাদিস আল্লামা আ
জিজুল হক। দ্বীনের কথা বলার ‘অপরাধে’ কারাবরণ করা হাদিসে রাসুলের জীবন্ত এ কিংবদন্তি মাত্র ক মাস আগে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। দূর থেকেই দেখতে পেলাম সাদা নোয়া একটি গাড়ি এগিয়ে আসছে ধীর গতিতে। গাড়ির সঙ্গে আসছে স্লোাগানময় মিছিল। গাড়ি গেটের কাছে এসে থামতেই অন্য সবার সঙ্গে আমিও এগিয়ে গেলাম। এই প্রথম শায়েখকে সবচে কাছে থেকে দেখা।
আমি ছিলাম গেটের ডান দিকে, তাই সামনে থেকে এ মমতাময় মুখাবয়ব কতটা ভক্তিময় দেখা যায় সেটা বুঝার সাধ্য হয়নি। গাড়ির বাইরে প্রচ- ভিড়, সবাই যেন সম্মোহিত। আয়োজক, সেচ্ছাসেবক প্রচন্ড ব্যস্ততার সাথে লোকজনকে গাড়ির দরজার সামনে থেকে সরাচ্ছেন, কিছুটা বিরক্তও তারা । কিন্তু ভিন্নরূপ কেবল গাড়ির ভেতরে। শায়েখের চেহারায় কোন বিরক্তি নেই। নেই কোন অসন্তুষ্টি। তিনি চিরচেনা সেই অমায়িক হাসির দ্যুতিময়তার আভা ছড়িয়ে চোখ বুলাচ্ছেন ডান থেকে বামে, কাচের এপাশ থেকে ওপাশে।
রাব্বে কারীমের অশেষ রহমতে প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় নানাভাবে তাকে কাছ থেকে দেখা ও অনুভব করার সুযোগ হয়েছে। আজও যখন কোন সাদাগাড়িতে সুভ্র পোষাকের কাউকে দেখি, তখন কেন যেন মনে হয় এই বুঝি শায়েখ এলেন- গাড়ির দরজা খুলে সেই চিরচেনা হাসি দিয়ে তিনি জিজ্ঞেস করবেন-কিরে, কেমন আছিস...।

বিশিষ্টজনদের ছিটেফোঁটা হলেও আমাদের এই সমাজে পড়ুক
মাসুদুল কাদির, যুগ্মসম্পাদক, মাসিক পাথেয়
10408869_10208153587066332_1753687069340843310_nসম্ভভত ১৯৯৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর মানিক মিয়া এভিনিউতে আমিও গিয়েছিলাম। সরল সুন্দর আন্দোলনের হুংকার ধ্বনি শুনেছি। সেখানে আলেমদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে দরদি কথা বলেছিলেন এই প্রবীণ আলেমেদ্বীন, আমার মনে হয় সেসব থেকে আজ কেউ শিখছে না। দরদি এই মানুষগুলোর ভিডিও দেখে দেখে আমাদের পথচলা উচিৎ। এ কারণেই আকাবীর তথা পূর্বসূরিদের হৃদয় দিয়ে অনুসরণ করা উচিৎ। অন্যথায় ধ্বংস অনিবার্য। মালিবাগ জামিআ শারইয়্যায় প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালনকালে তিনি মসজিদে জুমার আলোচনা করতেন। মধুময় এই আলোচনা শুনতে আমি প্রায়ই যেতাম। তার কথা ছিলো খুব কাছে টানার মতো। প্রার্থনা একটাই, এই বিশিষ্টজনদের ছিটেফোঁটা হলেও আমাদের এই সমাজে পড়ুক।

যাঁর প্রভাবে প্রভাবান্বিত আমি
সাইফ সিরাজ, কবি, গল্পকার, শিক্ষক
12931271_1056702771053158_9000091043979864924_nভৈরব ফেরিঘাট এলাকায় সাদা টুপির ঢল। যেন আকাশ নেমেছে। যে দিকেই তাকাই দেখি সবাই আমার সিনিয়র। সবার চোখে-মুখে একটা প্রত্যয়। একটা আনন্দ ধারা। একজন কিংবদন্তীর অপেক্ষা। আমরা স্বাগত সংগীত গেয়ে গেয়ে পথ করে দিচ্ছি। একজন প্রত্যয়ী মানুষ এগিয়ে যাচ্ছেন। আমার চোখ এই প্রথম এই মহানায়ককে দেখে বিস্ময়, আবেগ আর শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে ওঠল। আমি হাতে হাত রেখে বাইয়াত নিয়েছিলাম।
এরপর দীর্ঘ সময়। শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রাহ.-কে আমার বাড়ির পাশের এক মাহফিলে দেখি। কীভাবে যেন তিনি আমাকে চিনে ফেললেন! বললেন, "ভৈরবের সবচেয়ে ছোট মিজাহিদ তুমি?" আমি জ্বী বললাম। আমার খোঁজ নিয়ে কিছুটা হতাশ হলেন। মাথায় হাত রেখে দোয়া করলেন। বললেন, 'যদি ভাল কবিতা লিখতে পারো তবে ইসলামের উপকার করার নিয়তেই লিখবা।' আরও নানা কথা।
উপমহাদের অন্যতম প্রধান এই শায়খুল হাদীসের জায়গা অপূরণীয়। তবে, তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ চর্চার মাধ্যমে আমরা তাঁর কিছুটা অভাব পূরণ করতে পারি।

শায়খুল হাদিস ছিলেন দরাজদিলের মানুষ
মুফতি আহসান শরিফ, প্রিন্সিপাল, মাদরাসাতুল বালাগ ঢাকা
10408722_809193925812434_4634725788139708788_nশায়খুল হাদিস আজিজুল হক রহ. এর প্রধান কাজ ছিল পড়া এবং পড়ানো। হাদিসচর্চা। হাদিস শিক্ষা দেয়ায় নিবেদিত ছিলেন তাঁর কর্মময় জীবনের পুরো অংশজুড়ে। এ সুবাধে তার প্রথম সাক্ষাৎ লাভ করি মিরপুর ১৩ নাম্বার দারুল উলুম মাদরাসায়। সপ্তাহে তিন দিন সেখানে বোখারির দরস দিতেন শায়েখ। নতুন মাদরাসা, খরচ বহন করতে পারবে না যেনে- শায়েখ সেখানে খেতেন না। কেবল একটু পানীয় পান করতেন। এটা ছিল শায়েখের দরাজদিলের বড় পরিচয়। তখন আমি হেদায়েতুন্নাহু [অষ্টম শ্রেণি]-র ছাত্র। মাদরাসার খতমে বোখারিতে শায়েখের শানে আমার লেখা আরবি মাকালা পাঠ করলাম। শায়েখ খুশি হয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া দিলেন। এরপর শায়েখের হাসিমাখা দরদী মুখখানা বহুবার দেখার সৌভাগ্য লাভ করেছি।
দুনিয়ার অলঙ্ঘিত বিধান মেনে শায়েখ মহান রবের মেহমান হয়েছেন। বোখারি শরিফ বাংলা অনুবাদ, বাংলায় মসনবী শরীফসহ দীনি সব ক্ষেত্রে শায়েখের কাজ ছিল অসামান্য। প্রতিদিন পড়িয়েছেন কয়েক মাদরাসায়। ওয়াজের মাহফিলে ছুটে গেছেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। কাজ করেছেন রাজনৈতিক ময়দানে। ইসলামের ওপর আঘাত এলে যে কোনো সময় সশরীরে নেমেছেন রাজপথে। কওমি স্বীকৃতির জন্য পল্টনে অনশন করেছেন।
আজ আর শায়েখ নেই! তার রেখে যাওয়া প্রতিভামুখি কাজগুলো সুচারুভাবে আঞ্জাম দেয়ার দায়িত্ব উত্তরসূরি ওলামায়ে কেরামের। প্রয়োজন আমাদের আলেমদের সজাগ হয়ে কাজ করার। সমাজের সমস্যাগুলো চিন্হিত করে যথাযথ উদযোগ গ্রহণ করা। এতে শায়েখের আত্মা শান্তি পাবে।

অভিবাবক চাই তার মতো
জিয়াউল আশরাফ, নির্বাহী সম্পাদক, মাসিক কিশোরস্বপ্ন
999199_389001027895981_844070486_nশায়খুল আল্লামা আজিজুল হক রহ. ছিলেন এদেশের মানুষের ও ইসলামের এক বাতিঘর। যিনি শিখিয়েছেন কিভাবে এগিয়ে যেতে হয়। কাজের মাধ্যমে কিভাবে পরাজিত করা যায় অন্যায়, অবিচার, জুলুম নির্যাতনকে। তিনি কারো কাছে মাথা নত করেননি। সত্য উচ্চারণ করেছেন সাহাবায়ে কেরামের মতো। আমি শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহ. কে ২০০১ সালে ফতোয়াবিরোধী আন্দোলনের সময় পল্টন ময়দানে প্রথম দেখি। সেদিন খুব সকালেই চৌধুরী পাড়া মাদরাসা হতে মিছিলসহ পল্টন ময়দানে একেবারে সামনের দিকে ছিলাম। তাই বলা যায় খুব কাছ থেকেই দেখেছিলাম।
তার মতো দ্বিতীয়জন আমি আজও দেখিনি। আমরা অভিবাবকহীন হয়ে যাচ্ছি। জানি না তার মতো আর কোন অভিবাবক আসবেন কি না। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন আমাদেরকে এমন অভিবাবক দান করেন। যাদের হাত ধরে এদেশের ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের গতিধারা আরো বেগবান হবে।

শায়েখের শূন্যতায় মেরুদণ্ডহীন ইসলামি রাজনীতি
মুফতি তাজুল ফাত্তাহ, সম্পাদক, মাসিক মহিলাকণ্ঠ
11163766_836683893083403_3814249205783188572_nতখনো রাজনীতি বুঝি না। বৃহস্পতিবার বিকেলে পল্টন এসেছি সস্তায় পুরনো বই কিনতে। সাল সম্ভবত দু’হাজার তিন বা চার হবে। হঠাৎ মাইকের আওয়াজ। মুক্তাঙ্গনের স্টেজ থেকে কার যেন কিছুটা আবেগী, দরদীকণ্ঠ ভেসে আসছে। একজন বললেন, শায়খুল হাদিস সাহেব বক্তৃতা করছেন। শায়খের নাম শুনেছি এর ওর কাছ থেকে বহুবার। তাই এক ধরনের কৌতুহল নিয়ে দূরের স্টেজ এর দিকে যাই। তার কথার স্প্রীড দেখে রাজনীতি না বুঝলেও সবার সঙ্গে আমার চোখেও পানি চলে এলো। আমার সামনে তখন অনেকগুলো বজ্রহাত। শায়খকে সরাসরি দেখার এটি ছিল প্রথম পর্ব।
‘শাইখুল হাদিস’ শব্দটি একটি ব্যান্ডের মতো মনে হত। মাস্টার কপি টাইপের কিছু একটা। যাদের নিয়ে মূল্যায়ন করতেও বিশাল জ্ঞানের দরকার- শায়েখ আমার কাছে সেই স্তরের মানুষ ছিলেন। শায়খের মতো ব্যক্তিদের শূন্যতার কারণেই ইসলামী রাজনীতিকে আজ মেরুদণ্ডহীন মনে হয়। দায়িত্বশীল চৌকশ অভিভাবকের অভাব বোধ করি সব সময়।

মায়াবি কণ্ঠের বক্তা মাওলানা আজিজুল হক
মোশাররফ হোসেন মিরন, এমডি, চকবাজার হাসপাতাল, ঢাকা
13530574_1046236778756976_762098086_nবাংলাদেশে জন্ম অথচ শায়খুল হাদিস মাওলানা আজিজুল হককে চেনেন না, এ সংখ্যা নগন্য। জীবনে বহুবার খতমে বোখারি অনুষ্ঠানে হুজুরের বয়ান শুনেছি। সাদামাটা, সরল এবং সাধারণ মানুষের উপযোগী মায়াবী কণ্ঠে কথা বলতেন তিনি। যে কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারতেন সহজে। দীনি বিষয়ে এ দেশের মানুষের জন্য তার ভূমিকা ছিল অসাধারণ। রাত বিরাতে তিনি ছুটে গেছেন মানুষের প্রয়োজনে। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। এ দেশে হাজারো আজিজুল হক গড়ে ওঠুক এ কামনা মহান রবের দরবারে।

আওয়ার ইসলাম ২৪ ডটকম / এফএফ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ