মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত রাষ্ট্রের দায়িত্বে কে যাবেন সেই ফয়সালা আল্লাহ করবেন : জামায়াতে আমির শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান অধ্যাপক আখতার ফারুক রহ.-এর জীবন-কর্ম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হেফাজতের মহাসমাবেশ সফলে সাভারে উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত  কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের পর জামিন পেলেন মাওলানা মাসউদুল করীম ইজতেমা মাঠের মামলায় মাওলানা মাসউদুল করীম কারাগারে নারী সংস্কার কমিশনের ত্রুটি জানানো হলো ঐকমত্য কমিশনকে

এক মা ও সন্তানের গল্প

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

mother-and-son1শাবীব তাশফী : গত শতাব্দীতে চীনে এক মহা প্রলয়ঙ্কারী ভূমিকম্প হয়েছিলো। তাতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ মৃত্যু বরণ করে। এই খবর তো কমবেশি সবাই জানি।
চলুন! নতুন এমন কিছু জানি। যা আমরা জানতাম না!

সেই ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তুপের মধ্যে দেখা গেলো একটি দালানের নিচে কিছুটা ফাঁকা জায়গায় একজন মহিলা বাচ্চাসহ জ্ঞানহীন অবস্থায় পড়ে আছেন।

তাদের হসপিটালে নেওয়া হলো। বেশ কিছু সময় পর উভয়ের জ্ঞান ফিরে আসলো। মহিলার হাতের আঙ্গুলের অগ্রভাগগুলো ক্ষত-বিক্ষত ছিলো। ডাক্তার সাহেব এর কারণ জানতে চাইলে, সেই মা যা বললেন...

মা বললেন, বাসার ছাদটা আমাদের উপর এমনভাবে ভেঙ্গে পড়লো যে সৃষ্টিকর্তার করুণায় আমি বেঁচে গেলাম। আমার বাচ্চাটি ঐ মুহূর্তে কোলে থাকায় সেও বেঁচে গেলো। আমি বুঝতে পারছিলাম যে, এই ধ্বংসস্তুপ না সরানো হলে এখান থেকে আমার বের হওয়াটা অসম্ভব। ঐ অবস্থায় প্রথম দু'দিন আমি আমার বুকের দুধ দিয়ে বাচ্চার ক্ষুধা মিটালাম এবং নিজে অভুক্ত থাকলাম। দুর্ভাগ্যবশতঃ এরপর আমার বুকের দুধ ফুরিয়ে গেলো। ক্ষুধার যন্ত্রণায় আমার বাচ্চা কাঁদছিলো!
আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। কখনো তার মুখে আমার আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিতাম, কখনো আমার জিহবার আদ্রতা দিয়ে বাচ্চাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করিছিলাম। কিন্তু যতক্ষণ না তার পেটে খাবার যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কান্না থামানো যাচ্ছিলো না।

হঠাৎ আমার চিন্তায় আসলো, আমি তাকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারছিনা ঠিক, কিন্তু আমার দেহে এখনো যে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে তা তো খাওয়াতে পারি!

এ কথা চিন্তায় আসতেই আমি দাঁত দিয়ে আঙ্গুলের অগ্রভাগ কেঁটে ফেললাম! তা থেকে তখন রক্ত ঝরছিলো। এরপর আমি ক্ষত আঙ্গুলটি বাচ্চার মুখে দিলাম। সে চুষে চুষে খেতে লাগলো। যখন তার পেটে আমার রক্ত খাবার হিসেবে পড়লো, সে তখন কিছুটা ঠাণ্ডা হলো। এক এক করে আমি আমার সবগুলো আঙ্গুলের অগ্রভাগ দাঁত দিয়ে কামড়ে ক্ষত-বিক্ষত করে তাকে এই পরিমান রক্ত পান করালাম যে, একপর্যায়ে আমার শরীরের রক্তও শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেলো।

তখন আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম। বাচ্চাও জ্ঞান হারিয়ে ফেললো। তারপরের ঘটনা তো আপনার জানা।

কী বলবো? কী লিখবো? একবার ভাবুন তো! একজন মা তার সন্তানকে কতটুকু ভালোবাসলে এমনটি করতে পারেন? বাস্তবতা তো এটাই, নিজের জীবনের বিনিময়েও যদি নিজ সন্তানকে বাঁচানো যায়, মা সেটাই করেন। সন্তানের জন্য জীবনকে হাসি মুখে বিলিয়ে দেন। তবুও আমরা সেই মা'কেই কষ্ট দিই। বউয়ের ভালোবাসা পেয়ে বাবা-মাকে রেখে আসি বৃদ্ধাশ্রমে!!!
আর আমাদের মায়েরা? সেই বৃদ্ধাশ্রমেও
জায়নামাজে বসে দুয়া করেন, ইয়া আল্লহু! তুমি আমার খোকা'কে ভালো রেখো! সুস্থতার সাথে রেখো!!

শাবীব তাশফীর ফেসবুক ওয়াল থেকে...

/আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ