দিন দিন সবকিছু আধুনিক হচ্ছে। আর এই আধুনিক দুনিয়ায় জনপ্রিয় পেশা হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ফ্রিল্যান্সিং। যার মাধ্যমে মেধাবী তরুণরা ঘরে বসেই আয় করছেন সম্মানজনক অর্থ। তাদেরই একজন মাদরাসা শিক্ষার্থী আবদুল রহমান। বয়স অল্প হলেও তিনি ইতোমধ্যে এ পেশায় নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।
সোমবার (৮ জুলাই) আবদুল রহমান শোনালেন ফ্রিল্যান্সিংয়ে তার সফলতা গল্প। জানালেন জার্নির শুরুটা কেমন ছিল। এ পথে তার চলার শুরু ২০১৮ সালে। তখন তিনি একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপ্লিকেশনের কোর্স সম্পন্ন করেন। তারপর ২০১৯ সালে সেই প্রতিষ্ঠানে ‘ডিজিটাল মার্কেটিং ও ফিল্যান্সিং’ শেখেন এবং যাত্রা শুরু করেন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসের জনপ্রিয় সাইট ফাইভার ও আপওয়ার্কে।
আবদুল রহমান বলেন, ‘প্রথমে ৫ ডলারের একটি অর্ডারের মাধ্যমে আমার আয় শুরু হয় এবং বর্তমানে প্রতি মাসে গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ ইউএস ডলার আয় করছি (আলহামদুলিল্লাহ)।
প্রায় ১০-১৫টি দেশের ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করে আসছেন সাইবার বিশেষজ্ঞ আবদুল রহমান। এসব কাজের বিনিময়ে তিনি ঘরে বসেই উপার্জন করছেন বৈদেশিক মুদ্রা।
পিরোজপুরে জন্মগ্রহণকারী আবদুল রহমান দেশের রেমিট্যান্স বাড়াতে সাহায্য করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করেন- “আসলে আমার মতো ছোট্ট একজন মানুষ দেশকে এগিয়ে নিতে অবদান রাখতে পারছি। এটা আমার জন্য গর্বের” বলে জানান তিনি।
তার মতে- বর্তমান যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্ভাবনার একটি বিশাল ক্ষেত্র। ‘দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।’- বলেন এই মাদরাসা শিক্ষার্থী।
একটি আইটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন ফ্রিলান্সার আবদুল রহমান। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ঘরে বসেই অনলাইনে কাজ করছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে আবদুল রহমান জানান, ইউটিউবে ভিডিও দেখে দেখে ও স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় কাজ শিখেছেন তিনি। সেই অদম্য আগ্রহের থেকেই গড়ে তুলেছেন ৪টি অনলাইন আইটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট।
এনএ/