গরম থেকে শীত পড়া শুরু করলেই নানা রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। আবহাওয়া পরিবর্তনের এ সময়ে ঠাণ্ডা কিংবা কাশি নিত্য-নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
তবে এ সময়ে প্রকৃতির আশীর্বাদ হিসেবে আসে মধু। এ সময়ে প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেলে ঠাণ্ডা ও কাশির সমস্যা কমে যায়।
তবে খেতে হবে আসল-খাঁটি মধু। বাজারে বিশেষ করে আজকাল অনলাইন শপগুলোতে খাঁটি মধু পাওয়া যায় বলে প্রচারণা দেখা যায়। তবে অনেকের মনে সন্দেহ রয়েছে এই মধু আসলেই খাঁটি তো!
নকল মধুগুলোতে বেশি লাভের জন্য চিনির সিরাপ মেশানো হয়। উপকারের আশায় নকল মধু খেয়ে, উপকার তো পাই-ই না, বরং ক্ষতি হয় আমাদের।
তাহলে মধু চেনার উপায়! জেনে নিন:
নকল মধু
• নকল মধুতে ফেনা হয়
• একটু টকটক গন্ধ থাকে বা গন্ধ তেমন ভালো হয় না
• বেশ পাতলা হয়
• তলানিটা খসখসে থাকে
• স্তরগুলো আলাদা করা যায়
আর খাঁটি হলে
• সামান্য মধু আঙুলে নিন, এর ঘনত্ব দেখুন। আসল মধু অনেক বেশি আঠালো হবে
• একগ্লাস পানিতে মধু ড্রপ আকারে ছেড়ে দিন, খাঁটি মধু ড্রপ অবস্থায়ই গ্লাসের নিচে চলে যাবে
• মধুতে পিঁপড়া ধরবে না
• দীর্ঘদিন থাকলেও মধুর নিচে জমাট বাঁধবে না।
মধুতে প্রায় ৪৫টিও বেশি খাদ্য উপাদান থাকে। তবে এতে সাধারণত কোনো চর্বি ও প্রোটিন নেই। প্রতি ১০০ গ্রাম মধু থেকে আমরা ৩০৪ ক্যালরি পাই।
এছাড়াও
• মধুর সঙ্গে দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালীর বিভিন্ন সমস্যা দূর করে এবং রক্তনালী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে
• শরীরে শক্তি যোগায় এবং শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে
• নিয়মিত মধু খেলে লিভার পরিষ্কার থাকে, শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলো বের করে দেয় এবং শরীরের মেদ গলে বের হয়ে যায়
• সংক্রমণ দূর করে
• ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কেএল/