হিজাব পরায় স্কুল শিক্ষিকাকে হেনস্তা ও ইসলামের ফরজ বিধানকে কটূক্তি করায় লাখাই শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হকের অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, হবিগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর আলেম-ওলামা ও সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে তিনটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) আলেম-ওলামা ও সচেতন নাগরিক সমাজের একটি প্রতিনিধিদল স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অপসারণ ও গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলা হয়, ‘ইসলামের ফরজ বিধান হিজাব পরার কারণে গত ৭ অক্টোবর মৌবাড়ি ধনাই মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মাহবুবা আক্তারকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হক চরমভাবে হেনস্তা করেন। একপর্যায়ে তিনি ওই শিক্ষিকাকে ধমকাধমকি ও অপমান করে হিজাব খুলতে বাধ্য করেন এবং ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান পর্দা নিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্গাত্মক কটূক্তি করা হয়’।
স্মারকলিপি গ্রহণের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা বলেন, সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে একটি স্মারমকলিপি পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার প্রতিবাদে গত ১২ অক্টোবর শনিবার সকালে কালাউক বাজার উপজেলা পরিষদের সামনে মাহমুদুল হকের চাকরিচ্যুতি ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ। এতে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর উপজেলার মৌ বাড়ি ধনাই মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মাহবুবা আক্তার ছুটি বিষয়ে শিক্ষা অফিসে গেলে কর্মকর্তা তাকে জোরপূর্বক হিজাব খুলতে বাধ্য করেন এবং ইসলাম নিয়ে ইসলাম ও হিজাব নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক কটুক্তি করেন। বিষয়টি সামাজিকভাবে জানাজানি হলে সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
লাখাই উপজেলার আলেম-ওলামা ও সচেতন নাগরিক সমাজ পক্ষে স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন- মাওলানা মিসবাহ উদ্দীন আহমদ (সবুজ), মাওলানা আব্দুল হাই, মাওলানা মুফতী শরীফ উদ্দীন, মাওলানা আলী আজম, জসিম উদ্দিন, মাওলানা আকরাম হুসাইন আকরাম, মাওলানা মুহিম মাহফুজ, ক্বারী নূরুল আলম।
হাআমা/