|| হাসান আল মাহমুদ ||
কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ৪৭তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল ২০২৪/ ২৪ শে রমজান ১৪৪৪ হিজরী) বেফাক মিলনায়তনে বেলা ৩টায় বেফাকের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান-এর উপস্থিতিতে মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক ফলাফল ঘোষণা করেন।
বেফাকের ফলাফলে দেখা যায় নারায়ণগঞ্জ চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত জামিয়া ইব্রাহীমিয়া আমীনিয়া (মহিলা মাদরাসা) ও ঢাকার গোলাপবাগে অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ঈর্ষণীয় ফলাফল।
নারায়ণগঞ্জ জেলার ইব্রাহীমিয়া আমীনিয়া মহিলা মাদরাসা-এর ছাত্রী ফাতেমাতুজ্জহরা সারা দেশে ফযীলত (স্নাতক) শ্রেণিতে মেধাতালিকায় ২য় হয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৫০।
এছাড়া, জামিয়া ইব্রাহীমিয়া আমীনিয়া মহিলা মাদরাসা’র ফলাফলে দেখা যায় মেধা তালিকায় স্থান লাভ করেছেন মোট ৮৭ জন ছাত্রী। পরীক্ষার্থী ছিল ২৯৫ জন।
বিস্তারিত ফলাফল
মারহালা: ফযিলত (স্নাতক সমমান) শ্রেণিতে মোট পরীক্ষার্থী ৫২ জন, মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন ৫ জন।
মারহালা: সানাবিয়্যাহ উলইয়া মোট পরীক্ষার্থী ৮৭ জন, মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন ১৫ জন।
মারহালা: মুতাওয়াসসিতাহ মোট পরীক্ষার্থী ৯১ জন, মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন ৪১ জন।
মারহালা: ইবতিদাইয়্যাহ মোট পরীক্ষার্থী ৫০ জন, মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন ২৬ জন।
মারহালা: হিফজুল কুরআন মোট পরীক্ষার্থী ১৫ জন, এই মারহালায় মোট ১০ জন ছাত্রী মুমতায হয়েছেন।
রাজধানীর গোলাপবাগে অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মহিলা মাদ্রাসা’র ফলাফলে দেখা যায় মেধা তালিকায় স্থান লাভ করেছেন মোট ৩৪ জন ছাত্রী। পরীক্ষার্থী ছিল ১৬০ জন।
বিস্তারিত ফলাফল
মারহালা: ফযিলত (স্নাতক সমমান) মোট পরীক্ষার্থী ৪০ জন, মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন ৩ জন।
মারহালা: সানাবিয়্যাহ উলইয়া মোট পরীক্ষার্থী ৪৪ জন, মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন ৪ জন।
মারহালা: মুতাওয়াসসিতাহ মোট পরীক্ষার্থী ৩৩ জন, মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন ১৪ জন।
মারহালা: ইবতিদাইয়্যাহ মোট পরীক্ষার্থী ৩৮ জন, মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন ১২ জন।
এদিকে সফলতা অর্জন করা প্রতিষ্ঠান দুটির মুহতামিম মুফতি ফয়জুল্লাহ ইব্রাহিমী আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে আওয়ার ইসলামকে বলেন, ‘আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি, যিনি আমাদের এই দুই প্রতিষ্ঠানকে কবুল করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমাদের মাদরাসা দুটির ছাত্রীরা ভালো ফলাফল অর্জন করেছে। তাদেরকে যেন আল্লাহ উত্তম জাযা দান করেন’।
সফলতার পেছনের গল্প প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমাদের মাদরাসার শিক্ষিকারা ছাত্রীদের জন্য অনেক মেহনত ও মুজাহাদা করে থাকেন। তাদের অক্লান্ত মেহনত ও আল্লাহর খাছ তাওফিকে এই সফলতা অর্জিত হয়েছে।‘
এ সময় তিনি ছাত্রীদের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, মাদরাসা দুটির মুহতামিম মুফতি ফয়জুল্লাহ ইব্রাহিমীর পরিচালনাধীন মাদরাসাতুল কাসেম আল ইসলামিয়া নামে একটি ছেলে মাদরাসাও রয়েছে। গোলাপবাগে অবস্থিত এই মাদরাসা থেকে এ বছর ১১ জন পরীক্ষা দিয়েছে, যার মধ্যে চার জন মুমতায, পাঁচ জন জায়্যিদ জিদ্দান ও দুইজন জায়্যিদ হয়েছে।
হাআমা/