|| হাসান আল মাহমুদ ||
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ-এর অধীনে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় শুরুলগ্ন থেকেই রাজধানীর ঢালকানগরে অবস্থিত মাদরাসা বাইতুল উলুম ঈর্ষণীয় সফলতা অর্জন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৪৪৫ হিজরী শিক্ষাবর্ষে ৪৭ তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী কিতাব বিভাগে সর্বমোট ১১৮ জন ছাত্রের মধ্যে মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছে ৯৪ জন। মুমতায (স্টারমার্ক) লাভ করেছে ১১২ জন, জায়্যিদ জিদ্দান (১ম বিভাগ) থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬ জন।
বেফাকে সাফল্যের কারণে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করে মাদরাসা বাইতুল উলুম-এর পরিচালক মুফতি জাফর আহমদ আওয়ার ইসলামকে বলেন, আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানি, আল্লাহ তায়ালার শুকর যে, তিনি আমাদের শিক্ষার্থীদের মেহনতকে কবুল করেছেন। এটা অনেক খুশির ব্যাপার আমাদের জন্য।
তিনি বলেন, ‘ছেলেদের পাশাপাশি আমাদের মেয়েদের মাদরাসাতেও অনেক সিরিয়াল পেয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। এই সাফল্যের পিছনে আকাবিরদের তাওয়াজ্জুহ, উস্তাদ-শিক্ষার্থীদের মেহনত ছাড়া আমার কিছুই নেই। এগুলো সব আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানি’।
বিস্তারিত ফলাফল
ফযীলত :
পরীক্ষার্থী : ৩১ জন।
মেধা তালিকা : ৩য়, ৪র্থ, ৫ম ও ৮ম স্থান সহ মোট ২৭ জন,
মুমতায : ৩১ জন।
সানাবিয়া উলইয়া :
পরীক্ষার্থী ২৮ জন,
মেধাতালিকা : ৫ম ও ৯ম স্থান সহ মোট ১৬ জন,
মুমতায : ২৪ জন,
জায়্যিদ জিদ্দান: ৪ জন।
মুতাওয়াসসিতাহ :
পরীক্ষার্থী : ২৭ জন,
মেধা তালিকা : ৬ষ্ঠ ও ৯ম সহ মোট ২১ জন,
মুমতায : ২৬ জন,
জায়্যিদ জিদ্দান: ১ জন।
ইবতিদাইয়্যাহ :
পরীক্ষার্থী : ৩২ জন,
মেধাতালিকা : ১ম, ৪র্থ (২জন), ৭ম, ৮ম স্থান সহ মোট ৩০ জন,
মুমতায : ৩১ জন,
জায়্যিদ জিদ্দান : ১ জন,
হিফযুল কুরআন :
পরীক্ষার্থী : ২৭ জন।
মেধাতালিকা : ৮ জন,
২য় (৩ জন) ৩য় ( ৫ জন) মুমতায : ২৬ জন, জায়্যিদ জিদ্দান : ১ জন,
সর্বমোট মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছে ১০২ জন।
বালিকা শাখার ফলাফল:
আয়েশা সিদ্দিকা রা.বালিকা মাদরাসা (বালিকা শাখা মাদরাসা বাইতুল উলূম) বিগত বছরের মত এবারও ধারাবাহিক সফলতা অর্জন করেছে।
বালিকা শাখায় মোট পরীক্ষার্থী -১৬১ জন।
মেধাতালিকা: ৬৩ জন।
মুমতাজ: ৭০ জন।
জা:জি: ৪৬ জন।
জাইয়্যিদ: ৩১ জন।
মাকবুল : ১৪ জন।
বিস্তারিত ফলাফল
ফযীলত :
পরীক্ষার্থী : ৩১ জন।
মেধা তালিকা : ৭ জন।
মুমতায : ৭ জন,
জা:জি: ১৩ জন,
জাইয়্যিদ: ৬ জন,
মাকবুল: ৫ জন।
সানাবিয়া উলইয়া :
পরীক্ষার্থী : ৩৪ জন। মেধাতালিকা : ৪ জন,
মুমতায : ৪ জন,
জায়্যিদ জিদ্দান: ৮ জন,
জাইয়্যিদ : ১৬ জন,
মাকবুল: ৮ জন।
মুতাওয়াসসিতাহ :
পরীক্ষার্থী : ৩৯ জন।
মেধা তালিকা : ৪র্থ (দুই জন), ৫ম ও ৬ষ্ঠ স্থান সহ মোট ২৬ জন,
মুমতায : ২৬ জন,
জায়্যিদ জিদ্দান : ১১ জন,
জা: ১ জন।
মাকবুল: ১ জন।
ইবতিদাইয়্যাহ :
পরীক্ষার্থী : ৪৩ জন।
মেধাতালিকা : ২য় স্থান সহ মোট ২৫ জন,
মুমতায : ২৫ জন,
জায়্যিদ জিদ্দান : ১৩ জন,
জা: ৫ জন।
হিফযুল কুরআন :
পরীক্ষার্থী : ১২ জন। মেধাতালিকা : ১ জন,
মুমতায : ৮ জন,
জায়্যিদ জিদ্দান : ১ জন,
জায়্যিদ: ৩ জন।
এদিকে মাদরাসা বাইতুল উলুম ঢালকানগর’র শিক্ষা সচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ্ মিসবাহ আওয়ার ইসলামকে জানান, ‘মহান রাববুল আলামিনের মেহেরবানীতেই এ ধরণের ফলাফল সম্ভব হয়েছে। সাথে সাথে আমাদের মুরব্বী হযরত মুহতামিম মুফতী জাফর আহমদ দা.বা. এর দিকনির্দেশনা, ফিকির, তাওয়াজ্জুহ ও দোয়ার বদৌলতেই আল্লাহ তায়ালা সহজ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের মাদরাসার সকল উস্তাদ ও জামাতভিত্তিক নেগরানগণের নিরলস মেহনত ও তালিবে ইলমদের অক্লান্ত পরিশ্রম ধারাবাহিকভাবে ঈর্ষণীয় ফলাফলের রাস্তা উমুক্ত করছে বলে আমি মনে করি’।
‘এছাড়া গত কয়েক বছর ধরে বেফাক কিতাবমুখী প্রশ্নের দিকে ধাবিত হচ্ছে, যেহতু আমাদের মাদরাসায় পুর্ণ কিতাব পড়ানো হয় এবং তালিবে ইলমদেরকে ইস্তেদাদ ও কিতাবমুখী মেহনতের প্রতি তাকিদ দেয়া হয়, তাই ভালো ফলাফলের ক্ষেত্রে এ বিষয়টিও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়’।– মন্তব্য করেন তিনি।
হাআমা/