বছরের শুরুতেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা। উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে ঠাণ্ডা জেঁকে বসেছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ।
এর আগে বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
স্থানীয়রা জানান, হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষগুলো। সাধারণ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। সড়কে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। শীত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে মানুষ খড়-কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের দিনমজুর আক্কাচ আলি বলেন, ‘ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাজের জন্য চুয়াডাঙ্গায় আসতে হয়। এতো শীতে সাইকেল চালিয়ে শহরে পৌঁছানো কষ্টের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। হাত অবশ হয়ে পড়ে। শীতে কাজও তেমন একটা নেই। মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। সেই জন্য কাজও পাচ্ছি না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে কাজ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।’
কুমিল্লা থেকে আসা ট্রাকচালক আবির হোসেন জানান, এ এলাকায় চরম শীত পড়েছে। কুয়াশাও রয়েছে আকাশে। কুয়াশার কারণে গাড়ি চালানো কষ্ট হয়ে পড়েছে। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা বাড়বাজারের ব্যবসায়ী আবু তালেব বলেন, ‘শীতের জন্য মানুষ কম চলাচল করছে বাইরে। দোকান খোলা থাকলেও বিক্রি নেই। যাদের প্রয়োজন তারাই বাজারে আসছেন। শীতের তীব্রতা অনেক বেশি দিনে ও রাতে।’
স্থানীয়রা জানান, ঠাণ্ডা বাতাস ও কুয়াশার কারণে সকাল থেকে রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে। শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান জানান, ঠাণ্ডা বাতাস বইছে চুয়াডাঙ্গায়। একদিনের ব্যবধানে জেলায় ২ ডিগ্রি তামপাত্রা হ্রাস পেয়েছে।
তিনি আরও জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাড় কাঁপানো বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে।
কেএল/