শনিবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ।। ২০ পৌষ ১৪৩১ ।। ৪ রজব ১৪৪৬

শিরোনাম :
মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: ড.মঈন খান ‘আওয়ামী লীগ একাত্তরকে পুঁজি করে মূলত এই দেশকে শোষণ করেছে’ শাপলা চত্বর ট্রাজেডি; সব সিদ্ধান্ত আসত উপর থেকে: সোহেল তাজ মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে দিলেন ছেলে, পালন করলেন সব দায়িত্ব ‘দুর্নীতিবাজদেরকে ক্ষমতার মসনদে বসিয়ে আবার তামাশা দেখবো, তা হতে পারে না’ প্রধান উপদেষ্টার প্রতি বিনীত আবেদন পিনাকী ভট্টাচার্যের আবাসিক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের সপরিবারে থাকার ব্যবস্থা করা জরুরি: শায়েখ নেছার আহমাদ রাজধানীর পীর ইয়ামেনী মসজিদের ইমামের ইন্তেকাল, দোয়া মাহফিল ১৫ বছরে ১৮০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে: মির্জা ফখরুল গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মসজিদের ইমামের মৃত্যু

কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে পঞ্চগড়


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

পৌষের ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে নতুন বছরের প্রথম দিন। কুয়াশার আবরণের সঙ্গে বইছে হিমেল শীতল হাওয়া। বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস জানায় , বুধবার সকাল ৯টায়  যে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে তা গত বছরের প্রথম দিন যে তাপমাত্রা ছিল এ বছরের প্রথম দিনও সেই তাপমাত্রা, যা ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাতে বিদায়ী বছরের ১ জানুয়ারির সঙ্গে নতুন বছরের প্রথম দিনের তাপমাত্রার রেকর্ড মিলে গেল। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার বছরের শেষ দিনে রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

শৈত্যপ্রবাহ না হলেও বাতাসে বইছে কনকনে শীতের ঝাঞ্জা। নতুন করে শীতের তীব্রতায় কাঁপতে শুরু করেছে উত্তরের শীতের জেলা পঞ্চগড়ের প্রান্তিক জনপদের মানুষ।

সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশায় ঢাকা উত্তরের এ জেলা। শহর ও গ্রামের সড়কগুলোতে বিভিন্ন যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। গত চার দফায় শৈত্যপ্রবাহ গেলেও ছিল ঝকঝকে সকাল। শৈত্যপ্রবাহ কাটলেও ঘন কুয়াশা ও হিম বাতাসে নতুন করে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তর এ জনপদের মানুষদের। গ্রামীণ এলাকাগুলোতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনমজুর, পাথর ও চা শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষকে দেরিতে কাজে বের হতে দেখা গেছে।

সকালে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মধ্যে দিনমজুর, ভ্যানচালক ও পাথর শ্রমিকরা জানান, আবার দুই দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে আমাদের এলাকা। কুয়াশার সঙ্গে হিমেল শিশির ও হিম বাতাস। বাতাসের কারণে কনকনে শীত অনুভব করছি। কাজেও একটু দেরিতে বের হয়েছি। কুয়াশা থাকলে কাজে যেতে কষ্ট হয়। তবুও জীবিকার তাগিদে পরিবারের কথা চিন্তা করে কাজে বের হয়েছি।

শীতের কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।

জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ বলেন, ভোর থেকেই ঘন কুয়াশা পড়েছে এ জেলায়। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বছরের শেষ দিনে রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারিতে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ