রংপুর ব্যুরো
গাইবান্ধায় একশত টাকার বিক্রয় হচ্ছে এক মণ (৪০ কেজি) ফুলকপি। কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় একশত টাকায় এক মণ ফুলকপি বিক্রয়ের জন্যও মিলছে না ক্রেতা। এতে বিপাকে পড়েছে কৃষি নির্ভর গাইবান্ধার সবজি চাষিরা। বেশি দামে সার ও কীটনাশক ক্রয় ও সবজি চাষ করে সঠিক মূল্য না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন কুষক।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজির ফলন ভালো হওয়ায় সবজির দাম কমেছে।
সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া বাজারে শীতকালের সবজি ফুলকপি বিক্রয় করতে এসে বিপাকে পড়েছেন কচুয়া গ্রামের শরিফ হোসেন। ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি ফুলকপি সাত দিনের ব্যবধানে বিক্রয় করতে হচ্ছে ৪ থেকে ৫ টাকা কেজি দরে। বাজারে ফুলকপি বিক্রয় করার পরে শ্রমিকের খরচ তোলা সম্ভব হচ্ছে না।
একই গ্রামের জমিদুল মিয়া বলেন, অনেক কষ্ট করে মুলা চাষ করেছি। সার, পানি সব দেয়ার পরে ফলন বেশ ভালো হয়েছে। কিন্তু মুলা বিক্রয় করতে এসে বিপদে পড়েছি। দুই টাকা কেজিতেও কেউ মুলা নিচ্ছে না। ফলন ভালো হওয়ায় ফুলকপির দাম কমার কথা জানা সাঘাটা উপজেলার গাছাবাড়ী গ্রামের সুমন মিয়া। তিনি বলেন, দুই বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। ফুলকপি চাষে খরচ হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। তবে ফুলকপি বিক্রয় করে খরচের টাকা তোলা সম্ভব হবে না।
বোনারপাড়া বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মিঠু মিয়া বলেন, সাত দিনের ব্যবধানে সবজির দাম অনেক কমেছে। গত সাত দিন আগে ফুলকপি ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। বাঁধাকপি ছিল ২০ টাকা পিস। আলু ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। শনিবার সেই ফুলকপি বিক্রয় হচ্ছে ৪ থেকে ৫ টাকা কেজি, বাঁধাকপি ৭ থেকে ৮ টাকা পিচ, আলু ৪০ টাকা কেজি এবং মুলা ২ থেকে ৩ টাকা কেজি।
সবজি ব্যবসায়ী মনু মিয়া বলেন, ফুলকপি পাইকারি বাজারে ১০০ টাকায় প্রতি মণ ফুলকপি ক্রয় করে খুচরা ২০০ টাকা করে করা হচ্ছে। তবুও বিক্রয় হচ্ছে না।