সৈয়ব আহমেদ সিয়াম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
পশ্চিমা সংস্কৃতি অনুসরণে বাংলাদেশেও প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বর রাতে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনের নামে উচ্চ শব্দে গান-বাজনা ও অশ্লীলতা কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয় কিছু শিক্ষার্থী ।কিন্তু এবার বিদেশি এসব অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর ২০২৪) বিকেল ৪ টায় চবি ক্যাম্পাসে "পাহাড়িকা ইয়ুথ ক্লাব" এর ব্যানারে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করেন শিক্ষার্থীরা।
পাহাড়িকা ইয়ুথ ক্লাবের সদস্যরা চবির জিরো পয়েন্ট, পাহাড়িকা, সাউথ ক্যাম্পাস, শহিদ মিনার, স্টেশন ও সেন্ট্রাল ফিল্ডে শিক্ষার্থীদের একত্র করে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন না করার বিষয়ে বক্তব্য দেন। শ্রোতাদের কাছে তারা "উৎসবের আড়ালে" নামে একটি লিফলেট বিতরণ করেন।
পাহাড়িকা ইয়ুথ ক্লাবের আহ্বায়ক শাহাদাত চৌধুরী বলেন, "সবচেয়ে হতাশাগ্রস্ত দেশের তালিকায় এক নাম্বারে ইউক্রেন আর দুই নাম্বারে আমেরিকা। আমেরিকাতে প্রতি ৫ জনে ১ জন আত্মহত্যার কথা ভাবছে। আমেরিকা ও কানাডায় মৃত্যুর ২য় কারণ হলো আত্মহত্যা। যেই পশ্চিমারা নিজেদের অবাধ সংস্কৃতিতে নিজেরাই শান্তিতে নাই, তাদেরকে অনুসরণ করে আমরা কী করে শান্তি পেতে পারি? আমরা কী এমন কারো অনুসরণ করবো, যারা দুশো বছর আমাদের শোষণ করেছে? আমরা কী এমন কারো অনুসরণ করবো, যারা আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন ও সিরিয়ায় গণহত্যা চালিয়েছে? নববর্ষের আতশবাজি ও ফানুশে পুড়ে মরে শত শত নারী-শিশু। পটকার বিকট শব্দে অসুস্থ হয়ে পড়ে নবজাতক ও বয়োবৃদ্ধরা। আমাদের উচিত হবে থার্টিফার্স্ট নাইটের নামে অসুস্থ পশ্চিমা সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে আসা।"
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, "মুসলিম হিসেবে আমাদের নিজেদের ইসলামি সংস্কৃতিকে লালন করা উচিত। পশ্চিমাদের সাদৃশ্য অবলম্বন করা আমাদের জন্য সঠিক নয়। এই শীতে আমরা আতশবাজি আর দূষণ না করে পাঠচক্র ও শীতবস্ত্র বিতরণ করতে পারি। আমাদের নিজস্ব তারুণ্যের শক্তিতে বলীয়ান হওয়া উচিত।"
উল্লেখ্য, পাহাড়িকা ইয়ুথ ক্লাব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ ক্যাম্পাসের পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটি নামক আবাসিক এলাকার একটি সামাজিক সংগঠন। শিক্ষার্থীদের এই সংগঠনটি জ্ঞানচর্চা, সাহিত্য ও সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
এনএ/