চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জাহাজে খুনের শিকার সাতজনের একজন সজীবুল ইসলাম। ছেলের এমন মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে মারা যান বাবা দাউদ মোল্যা। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়িতেই তিনি মারা যান।
গত মঙ্গলবার ছেলে সজিবুলের মৃত্যুর খবর শোনার পর কেঁদেই চলেছেন বাবা দাউদ মোল্লা। তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন স্বজনরা। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়।
পাঁচ বছর ধরে জাহাজের বিভিন্ন পদে চাকরি করেছিলেন সজিবুল ইসলাম। সম্প্রতি জাহাজের চাকরিতে পদোন্নতি পেতে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। সে ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলেন। মাঝের এ সময়টায় অলস বসে না থেকে সপ্তাহ দুয়েক আগে এমভি আল-বাখেরা জাহাজে গ্রিজার পদে চাকরি নেন তিনি। চাঁদপুরের হাইমচরে দুই দিন আগে এমভি আল-বাখেরা জাহাজে যে সাতজন হত্যার শিকার হন, তাদের একজন সজিবুল।
সজীবুল ইসলামের বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নে। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। মাস পাঁচেক আগে বিয়ে করেছিলেন সজিবুল।
সজিবুলের মামা আহাদ সর্দার শুক্রবার সকালে সজিবুলের বাবা দাউদ মোল্যার মৃত্যুর খবরের সত্যতা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান জানান, জাহাজে হত্যাকাণ্ডের শিকার সজিবুলের বাবা দাউদ মোল্যার মৃত্যুর সংবাদ রাতেই জানতে পেরেছেন। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।