গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশুবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রায়হান মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল সুমনের বিরুদ্ধে ১১ বছর আগের ঘটনা দেখিয়ে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ-বিশুবাড়ী সড়কের বিশুববাড়ী বাজার এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়। বিশুবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মানববন্ধনে শিক্ষার্থী ছাড়াও ভুক্তভোগীর পরিবার ও শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- ভুক্তভোগী শিক্ষকের স্ত্রী নাছরীন নাহার, শিক্ষার্থী লোহিন মিয়া, আমিনুর ইসলাম, মারফ মিয়া, রিয়াদ হোসেন ও মিরাতুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০১৪ সালে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে শিক্ষক ও সাংবাদিক মোস্তফা কামাল সুমনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে। শিক্ষকতার পাশাপাশি সুমন অনলাইন নিউজ পোর্টাল গোবি খবরের সম্পাদক। তিনি বিশুবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণী শিক্ষকের পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন সহকারী শিক্ষক। তাদের দাবি, মূলত সংবাদ প্রকাশের জেরে সুমনকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। সঠিক তদন্ত করলে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
এসময় বক্তারা দ্রুত হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা থেকে শিক্ষক সুমনের অব্যহতির দাবি করেন। সেই সঙ্গে মিথ্যা মামলা করার পেছনে জড়িতদের চিহ্নিত করার দাবি জানান। এই মামলা প্রত্যাহার না করা হলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচির দেয়ার ঘোষণাও দেন বক্তারা।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর সহকারী শিক্ষক মোস্তফা কালাম সুমন ও গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মুকিতুর রহমান রাফিসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের হয়।
মামলার বাদী তাহারাত তানভীর প্রধান জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমীর ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন্নবী প্রধানের ছেলে। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, আসামিদের সাথে তার পিতা নুরুন্নবী প্রধানের রাজনৈতিক ভিন্ন মতবাদের কারণে ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মোটরসাইকেলসহ তাকে পথরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।