গাজীপুরের টঙ্গীতে ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থিদের বর্বর হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে টঙ্গী-কালীগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন শূরায়ে নেজামের মুসল্লিরা।
শুক্রবার বাদ জুমা একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মুসল্লিরা টঙ্গী পূর্ব থানাগেটে সমবেত হন। এ সময় তারা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) এনএম নাসিরুদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন।
পরে টঙ্গী-কালীগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও সমাবেশ করেন মুসল্লিরা। সমাবেশে বক্তব্য দেন টঙ্গী দারুল উলূম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুফতি মাসউদুল করিম।
মাওলানা মুফতি মাসউদুল করিম বলেন, সাদপন্থি ওয়াসিফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ মনসুর ও রেজা আরিফগংরা আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা ভণ্ডুলের হুমকি দিচ্ছেন। তা আমরা মেনে নিতে পারি না।
তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমা-২০২৫ উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভার কার্যবিবরণীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ হস্তান্তর বিষয়ে ক্রমিক নং-২ এ স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, বিশ্ব ইজতেমা প্রথম পর্বের আয়োজনকারীরা তাদের আয়োজন শেষে ইজতেমার মাঠ ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে গঠিত বিশ্ব ইজতেমা মাঠ প্রস্তুত সংক্রান্ত কমিটিকে আগামী বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ৩টার মধ্যে বুঝিয়ে দেবেন।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়পর্বের আয়োজনকারীরা ওই দিন বিকালে উক্ত কমিটির কাছ থেকে ইজতেমার মাঠ বুঝে নেবেন। ইজতেমা শেষে ১১ ফেব্রুয়ারি উক্ত কমিটির কাছে মাঠ হস্তান্তর করবেন; কিন্তু সাদপন্থিরা সরকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে আগামী ২০ ডিসেম্বর পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার উদ্দেশ্যে সারা দেশের সব জেলায় তাদের উগ্রপন্থি সাথীদের টঙ্গী ময়দানে আসার জন্য চিঠি পাঠায় যা সরকারের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর সামিল। সাদপন্থিরা চাচ্ছে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষ নিয়ে টঙ্গী ময়দানে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে সরকারকে বিপাকে ফেলতে।
তিনি বলেন, গত ২-৩ দিন আগে আব্দুল্লাহ মনসুর নামে এক সাদপন্থি আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা ভণ্ডুলের হুমকি দিয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয় সাদপন্থি নেতা ওয়াসিফুল ইসলামসহ অন্যরা আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা ভণ্ডুলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এসব ব্যক্তিকে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রদানসহ আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানানো হয়।
হাআমা/