তালিবুল ইলমের আবশ্যকীয় পাঁচটি কাজ
প্রকাশ:
১১ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৩২ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
মাওলানা মকবুল হোসাইন প্রত্যেক তালিবুল ইলমের সামষ্টিকভাবে নিচের পাঁচটি কাজ করা অত্যাবশ্যক: ২. يقين محكم তথা দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস রাখা। ইলম আল্লাহর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও বড় নেয়ামত এই বিশ্বাস মনের ভেতরে লালন করা। মহান আল্লাহ নবী-রাসুল ও তাঁর নির্বাচিত লোকদেরকে এই দৌলতই দিয়েছিলেন। এই ইলমের চেয়ে মহা মূল্যবান কিছু নেই। যদি থাকতো, তাহলে নবী-রাসুলদেরকে এই ইলমে অহি না দিয়ে তাই দিতেন। অথচ মহান আল্লাহ তাঁর সকল নবী-রাসুল ও নির্বাচিতজনকে কেবল এই ইলমে অহিই দিয়েছেন, তাই তো হাদীস শরীফে এসেছে - ৩. عزم قوى তথা প্রবল ইচ্ছা। দৃঢ় সংকল্প। ইলম হাসিলের জন্য নিছক নিয়ত ও ইচ্ছা যথেষ্ট নয়। তা হাসিলের জন্য প্রয়োজন একান্ত ইচ্ছা। পোক্ত সংকল্প। ৪. مجاهدة قاهرة তথা অবর্ণনীয় চেষ্টা মুজাহা করা। ত্যাগ তিতিক্ষা স্বীকার করা। বাবা-মা, ভাই-বোন, নিজ এলাকা ও আরাম-আয়েশ ইত্যাদি ছেড়ে মাদরাসায় আসার দ্বারা মুজাহাদা তো হয়েছেই, এই মুজাহাদাকে ইলম হাসিলের জন্য আরও দীর্ঘ ও ব্যাপক করা। ৫. اتباع سنت و اجتناب عن المعصية তথা সুন্নতের অনুসরণ করা ও গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা। দাড়ি টুপি কুর্তা গেঞ্জি লুঙ্গি পায়জামা পোশাক-আশাকে সুন্নতের অনুসরণ করা। লেবাসুস সালিহীন পরিধান করা। তাদের বেশভূষা অবলম্বন করা আর বড়দের গুনাহ তো সবাই জানে, কোনো গুনাহ না করা। ইলম হলো নুর আর গুনাহ হলো অন্ধকার। গুনাহগারকে আল্লাহ ইলমের নুর দেন না। তাই সব ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। [জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম রামপুরা বনশ্রী মাদরাসার ১৪৪৬-৪৭ হিজরি শিক্ষাবর্ষের ইফতিতাহি দরসে দেওয়া বয়ানের সারকথা। অনুলিখন করেছেন মাওলানা মাসুম আব্দুল্লাহ] এসএকে/ |