‘ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ জরুরি’
প্রকাশ:
১৯ মার্চ, ২০২৫, ০৭:০১ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
আবদুল্লাহ ফিরোজী যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভঙ্গ করে সাহরীর সময় ফিলিস্তীনের গাজায় মজলুম মুসলমানদের উপর সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাঈলের নৃশংস হামলায় চার শতাধিক নারী শিশু হত্যা এবং ভারতে হোলি উৎসবের নামে উগ্র হিন্দুদের দ্বারা মুসলমানদের ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হেফাজত ঢাকা জেলা উত্তর নেতৃবৃন্দ। আজ বুধবার (১৯ মার্চ মোতাবেক ১৮ রমজান) আশুলিয়ার এলাহী কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ইসরাঈলের সন্ত্রাসী বাহিনী যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভঙ্গ করে সাহরীর সময় ফিলিস্তীনের গাজা ভূ-খণ্ডের ওপর স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালিয়ে চার শতাধিক মুসলিম নারী পুরুষকে হত্যা করেছে। তাদের এই নির্মম ও বর্বর হত্যাকাণ্ড শতাব্দীর সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। গোটা ফিলিস্তীনকে ধ্বংসস্তুপ ও গণকবরে পরিণত করেছে তারা। এছাড়া সম্প্রতি লাউড স্পিকারে আজান দেওয়ায় ভারতে ইমামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। হোলি উৎসবের নামে মুসলিমদের নামাজ আদায় না করতে দেওয়ার ঘোষণা হয়েছে। রোজাদার মুসলিমদের পথ আটকে হোলির রঙ মাখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলে পিটিয়ে জখম করা হচ্ছে। নামাজরত মুসল্লিদের ওপর শারীরিক আক্রমণ করা হচ্ছে। বিদ্যালয় ও যানবাহন থেকে নিয়ে বাড়ি-ঘরেও নারী ও শিশুরাও নিরাপদে নেই। তাদের ওপরও হামলা হচ্ছে। ইসরাঈল ভারতের উগ্রবাদী হিন্দুদের বর্বর এই হত্যাযজ্ঞ অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ প্রতিরোধ জরুরি। ওআইসির অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রগুলো সম্মিলিত সামরিক বাহিনী গঠন করে মজলুম মুসলমানের পাশে দাঁড়ানোর বিকল্প নাই। আল্লাহ তায়ালা মুসলিম নেতৃবৃন্দকে সুমতি দান করুন। হেফাজত ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন শায়খুল হাদীস মাওলানা আশিকুর রহমান কাসেমী। ঢাকা জেলা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কফিল উদ্দিন, আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মিয়া, মাওলানা আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মাওলানা আশরাফ আলী, মুফতি আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মুফতি নাজমুল হাসান বিন নূরী,মুফতি মাহফুজ হায়দার কাসেমী, মুফতি আলী আশরাফ তৈয়ব, মাওলানা মাহমুদুল কবির মুনীর, মাওলানা বাহাউদ্দীন, মুফতি আলী আকরাম, মুফতি সুলতান মাহমুদ, মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধান ইসকন সদস্য তুলসি গ্যাবার্ডের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে কোন ধরনের উগ্রপন্থার চর্চা হয় না। শাপলা চত্বরের গনহত্যার বিচারের আগে বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। অর্থের বিনিময়ে যারা স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসন করতেছে তিনি তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। হাআমা/ |