‘বদর যুদ্ধের বিজয় কেয়ামত পর্যন্ত মুসলমানদের জন্য অনুকরণীয় মডেল’
প্রকাশ: ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১১:১০ রাত
নিউজ ডেস্ক

রহমাতুল্লিল আলামীন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী বলেছেন, বদরের যুদ্ধ ছিল হক ও বাতিলের চূড়ান্ত লড়াই। মক্কার জীবনে চরম নির্যাতনের মধ্যেও রাসূলুল্লাহ (সা.) সাথীদের নিয়ে বাতিলের সাথে আপোষ করেননি।

সীমাহীন ধৈর্যের মাধ্যমে নিরবে সমস্ত নির্যাতন সহ্য করেছেন। নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে আল্লাহর নির্দেশে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। সেই ইসলামি রাষ্ট্রকে রক্ষার জন্যই দ্বিতীয় হিজরীর ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর প্রান্তরে অস্ত্রে সজ্জিত মক্কার কাফেরদের মুখোমুখি হন। ৩১৩ জন সাহাবায়ে কেরাম রা. ঈমানী পরীক্ষায় বিজয়ী হন।

তিনি বলেন, কেয়ামত পর্যন্ত এ বিজয় মুসলমানদের জন্য অনুকরণীয় মডেল। তাই বিশ্ব মুসলমানের উচিত, বদরের চেতনা থেকে অন্যায়ের প্রতিরোধ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আপোষহীন দীক্ষা গ্রহণ করা। দেশে দেশে আজ কাফির মুশরিকদের সাথে মুসলিম শাসকদের আপোষকামীতার যে মহড়া চলছে তা থেকে মুসলিম উম্মাহকে বেরিয়ে আসতে হবে।

আজ ১৭ রমজান, ১৮ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এস সি অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া হল রুমে রহমাতুল্লিল আলামীন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বদরের চেতনা ও রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বনবীর নির্দেশনা শীর্ষক আলোচনা ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী।

তিনি আরও বলেন, আপোষকামী নেতৃত্বের ফলে বিশ্বব্যাপী আজ মুসলমানরা চরম নির্যাতিত, নিপীড়িত, নিষ্পেষিত। প্রতিটি মুসলিম দেশেই চলছে বদরের পরিস্থিতি। ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লেবানন, ইয়ামেন, মিয়ানমার ও ভারতসহ অসংখ্য দেশে আজ বদরের পরিস্থিতি দৃশ্যমান।

বিশেষ করে ফিলিস্তিনের গাজায় সন্ত্রাসী ইজরাইলি গণহত্যা নমরুদ ফেরাউনদেরকেউ হার মানিয়েছে। গাজায় গণহত্যা বন্ধে মুসলিম উম্মাহর বদরী প্রতিরোধের বিকল্প নেই। মুসলিম উম্মাহকে গ্লানিকর জীবন থেকে মুক্তি পেতে হলে বদরের সেই প্রতিরোধ সংগ্রাম ও আপোষহীনতার চেতনা ধারণ ও লালন করতে হবে।

রহমাতুল্লিল আলামীন ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি তানভীর আহমদ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুফতী আহসান শরীফ ও যুগ্ম মহাসচিব মুফতী জাকারিয়া মাহমুদের যৌথ সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের অধ্যাপক ড. মুফতি মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী, শায়খুত তাফসীর মাওলানা খুরশীদ আলম কাসেমী,

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মুফতি আমিনী রহ. এর জামাতা ও লালবাগ মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা যুবায়ের আহমদ, জাতীয় ইমাম পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া, মুফতি লুতফুর রহমান ফরায়েজি, মাওলানা আনসারুল হক ইমরান, মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন,  মুফতি আল আমিন সরাইলি,  মাওলানা মাহবুব আল হাসান, মুফতি এহসানুল হক উসমান, মুফতি আব্দুর রহিম বিপ্লবী, মুফতি আব্দুল কাইয়ুম হানাফী, মাওলানা কামাল উদ্দীন নোমানী, মাওলানা আবদুর রহমান ফরিদাবাদীসহ প্রতিভাবান প্রবীণ-নবীন ওলামায়ে কেরাম।

নারনা/