চট্টগ্রামে কমিটি বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ
প্রকাশ:
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৫:৪৫ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলনে নেমেছে সংগঠনের একাংশের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি বাতিলের দাবি জানান সংগঠনের একাংশ। এরপর দুপুর থেকে নগরীর ইস্পাহানি মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন তারা। সড়ক অবরোধের কারণে লালখান বাজার, টাইগার পাস, ওয়াসা মোড়সহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের অনুরোধে একপাশের রাস্তা খুলে দিলে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়। সাড়ে তিনটার দিকে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। তিনি লেখেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামে উদ্ভূত পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান আজ সন্ধ্যার আগে করা না হলে আমি এবং সম্মুখ সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া সহযোদ্ধাসহ এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে যেতে বাধ্য হবো।’ সংবাদ সম্মেলনে নতুন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম ইলাহী বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে নারী সংগঠককে হেনস্তা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে, তাদেরকেই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে সাড়ে চার মাস ধরে তদন্তের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক যোবায়ের আলম মানিক বলেন, ‘আমরা দেখছি, আন্দোলনের প্রকৃত কর্মীদের বাদ দিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। ঘোষিত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে শ’খানেক নেতা ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন।’ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মাসখানেক আগে রিজাউর রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অডিও ফাঁস হয়েছে এবং তা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া সংগঠনের মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদকে অবরুদ্ধ করে আহতদের ওপর হামলার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অথচ তাকেই চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। একইভাবে, তার সহযোগী আরেফিনকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক ও দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক হিসেবে আরেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের বন্ধুকে বসানো হয়েছে। সংগঠনের নেতারা জানান, ‘রাউজান, ফটিকছড়ি, আনোয়ারা থেকে ছাত্রলীগের কর্মীদের এনে কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। অথচ সাবেক এমপি ফজলে করিম ও তার ছেলে ফারাজ করিমের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করা কর্মীদের জায়গা দেওয়া হয়নি।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিদুয়ান সিদ্দিকী, সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নাফিজা সুলতানা অমি, আবদুর রহমান, আবুল বশির নাইম, ওমর ফারুক নয়নসহ ১৮ জন সমন্বয়ক। বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ইস্পাহানি মোড়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। কেন্দ্র থেকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলেও তারা রাস্তা ছাড়েননি। এর আগে, সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় কমিটি আগামী ছয় মাসের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর ৩১৫, জেলা উত্তরে ১১২, জেলা দক্ষিণে ৩২৭ সহ মোট ৭৫৪ সদস্যবিশিষ্ট তিনটি কমিটির অনুমোদন দেয়। এরপর থেকেই নতুন কমিটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। আরএইচ/ |