রমজানে ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার
প্রকাশ:
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:৪৯ রাত
নিউজ ডেস্ক |
![]()
দেশে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গৃহযুদ্ধের কারণে খাদ্যের সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে সেখানে খাদ্যশস্যের চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবিসহ দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সীমান্তে কঠোর নজরদারির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশে এ মুহূর্তে ১৩ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম মজুত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী রমজান মাসকে ঘিরে যাতে দাম সহনশীল থাকে সেই বিষয়েও সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। রমজান মাসে দেশের ৫০ লাখ পরিবার ১৫ কেজি টাকা দরে ৩০ কেজি চাল পাবে। এছাড়াও ঈদুল ফিতরে এক কোটি পরিবারকে এক লাখ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হবে উপহার হিসেবে। এসবই হচ্ছে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অংশ হিসেবে। বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ‘খাদ্যশস্য চোরাচালান প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারকরণ’ বিষয়ক সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এসব কথা বলেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে খাদ্য সংকট দেখা দিলে বাংলাদেশ থেকে কিছুটা চোরাচালান হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আগে থেকেই সার এবং জ্বালানি তেল চোরাচালানের একটা প্রবণতা এখানে ছিল। তাই নজরদারি অব্যাহত রাখা এবং প্রয়োজনে আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে কোনো অবস্থাতেই চোরাচালান না হতে পারে। দেশে বর্তমানে খাদ্যশস্যের সরকারি মজুত এবং আমদানি ব্যবস্থা স্বাভাবিক উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সামনে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চালের যে কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছিল সেটি কেটে যাবে এবং চালের দামও সহনশীল থাকবে। এর আগে জেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে জলসীমান্ত ৫৪ কিলোমিটারের। এসব সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও মাদক চোরাচালান নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই চাল-ডাল-তেল চোরাচালান রোধে ব্যবস্থা নিতে সরকার উদ্যোগী হয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। হাআমা/ |