সিলেট দারুল মাহমুদ মাদ্রাসায় হিফয সমাপন ও পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠিত
প্রকাশ:
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৩:৪৫ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
সিলেটের স্বনামধন্য ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল মাহমুদ তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসায় হিফয সমাপনকারী শিক্ষার্থীদের পাগড়ি প্রদান ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক ভাবগম্ভীর ও আনন্দঘন পরিবেশে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বরেণ্য ইসলামিক ব্যক্তিত্ব, উলামায়ে কেরাম, অভিভাবক ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন। হাফিজদের আনুষ্ঠানিক সম্মাননা অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল হাফিজদের পাগড়ি প্রদান ও সনদ বিতরণ। দীর্ঘ সাধনার পর পবিত্র কুরআন মুখস্থ সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের মাথায় আনুষ্ঠানিকভাবে পাগড়ি পরিয়ে দেওয়া হয় এবং তাঁদের হাতে সম্মাননা সনদ তুলে দেওয়া হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা সুললিত কণ্ঠে কুরআন তেলাওয়াত করলে উপস্থিত সবাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। উলামায়ে কেরামের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রধান অতিথি হাফিজ মাওলানা তজম্মুল আমিন সাহেব বলেন, "একজন হাফিজ কেবল কুরআনের ধারক নন, বরং তিনি ইসলামের প্রচারকও। তাই কুরআনের শিক্ষা মুখস্থ রাখার পাশাপাশি তা জীবনেও বাস্তবায়ন করা উচিত।" এছাড়া বিশিষ্ট আলেমগণ হাফিজ মাওলানা আহমদ সগীর বিন আমকুনী, মাওলানা আব্দুল আহাদ নুমানি, উস্তাদুল হুফফাজ হাফিজ জুনাইদ আহমদ, ইসলামিক শিক্ষার গুরুত্ব, হাফিজদের সমাজে ভূমিকা ও দায়িত্ব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাগণ হাফিজ মাওলানা মুখলিছুর রহমান সাহেব, হাফিজ মাওলানা তোফায়েল আহমদ সাহেব, হাফিজ মাওলানা ফখর উদ্দিন সাহেব, হাফিজ মাওলানা মাশহুদ আহমদ সাহেব প্রমুখ। মাদ্রাসার সম্প্রসারণ ও ভূমি ক্রয় প্রকল্প মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফিজ মাওলানা আব্দুল আহাদ মাদ্রাসার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, "মাদ্রাসার পরিধি বাড়ানোর জন্য ৭ শতক জমি কেনার কার্যক্রম চলছে। কিছু অংশের মূল্য পরিশোধ করা হলেও আরও অর্থ প্রয়োজন। সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের এ মহতী উদ্যোগে সহযোগিতা করা উচিত।" অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া অনুষ্ঠানে অভিভাবকরাও সন্তানের হিফয সম্পন্ন হওয়া নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এক অভিভাবক বলেন, "আমার সন্তান কুরআনের হাফিজ হয়েছে, এটি আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। মাদ্রাসার শিক্ষকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।" অন্য একজন বলেন, "দারুল মাহমুদ মাদ্রাসা ইসলামি শিক্ষার বিস্তারে অনন্য ভূমিকা রাখছে। আমি চাই আরও শিক্ষার্থী এখানে কুরআন হিফয করে ইসলামের সেবা করুক।" বিশেষ মোনাজাত ও সমাপ্তি অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং মাদ্রাসার অগ্রগতির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিশিষ্ট উলামায়ে কেরাম দোয়া পরিচালনা করেন, যেখানে উপস্থিত সকলে হাত তুলে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন। এমন আয়োজনে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অতিথিদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। আরএইচ/ |