গতমাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬০৮
প্রকাশ:
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০১:৩৬ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
জানুয়ারি মাসে সারাদেশে ৬২১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬০৮ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছে কমপক্ষে ১১০০ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৭২, শিশু ৮৪। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ২৭১টি। এতে নিহত ২৬৪ জন। যা মোট নিহতের ৪৩.৪২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৩.৬৩ শতাংশ। আজ মঙ্গলবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় ১৪৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৩.৫১ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৩ জন, অর্থাৎ ১২ শতাংশ। এই সময়ে নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪টি। ৬ জন নিহত, ২ জন আহত হয়েছেন। ২২টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত এবং ৭ জন আহত হয়েছেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র: দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়- মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২৬৪ জন (৪৩.৪২%), বাসের যাত্রী ২৮ জন (৪.৬০%), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৩৪ জন (৫.৫৯%), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ১৯ জন (৩.১২%), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) ৯০ জন (১৪.৮০%), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-টমটম) ১৮ জন (২.৯৬%) এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ১২ জন (১.৯৭%) নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২১৪টি (৩৪.৪৬%) জাতীয় মহাসড়কে, ২৬৫টি (৪২.৬৭%) আঞ্চলিক সড়কে, ৯৬টি (১৫.৪৫%) গ্রামীণ সড়কে এবং ৪২টি (৬.৭৬%) শহরের সড়কে এবং ৪টি (০.৬৪%) অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনার ধরন: দুর্ঘটনাসমূহের ১৩৩টি (২১.৪১%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৫৮টি (৪১.৫৪%) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১৪১টি (২২.৭০%) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৭৫টি (১২.০৭%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৪টি (২.২৫%) অন্যান্য কারণে ঘটেছে। দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন: দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে- ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ড্রাম ট্রাক ২৯.৬৬%, যাত্রীবাহী বাস ১৪.৬২%, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স ৩.৭০%, মোটরসাইকেল ২৮.৭৩%, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) ১৪.১০%, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-চান্দের গাড়ি-টমটম-মাহিন্দ্র-বোরাক-লাটাহাম্বা) ৪.৩২%, বাইসাইকেল-রিকশা ১.৬৪% এবং অজ্ঞাত যানবাহন ৩.১৯%। দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা: দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৯৭১টি। (বাস ১৪২, ট্রাক ১৯১, কাভার্ডভ্যান ২৪, পিকআপ ২৬, ট্রাক্টর ১২, ট্রলি ১৮, লরি ৬, ড্রাম ট্রাক ১১, মাইক্রোবাস ১৯, প্রাইভেটকার ১৫, অ্যাম্বুলেন্স ২, মোটরসাইকেল ২৭৯, থ্রি-হুইলার ১৩৭ (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৪২ (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-চান্দের গাড়ি-টমটম-মাহিন্দ্র-বোরাক-লাটাহাম্বা), বাইসাইকেল-রিকশা ১৬ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ৩১টি। দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ: সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ৭.০৮%, সকালে ৩১.০৭%, দুপুরে ১৭.২৩%, বিকালে ১৫.৪৫%, সন্ধ্যায় ৯.৯৮% এবং রাতে ১৯.১৬%। দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান: দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৭.৬৯%; প্রাণহানি ২৬.৪৮%, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪.৮১%; প্রাণহানি ১৭.৪৩%, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৫.৬১%; প্রাণহানি ১৫.৭৮%, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১২.৫৬%; প্রাণহানি ১২.১৭%, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৫%; প্রাণহানি ৪.৯৩%, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৫.৭৯%; প্রাণহানি ৬.২৫%, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ১৩.৩৬%; প্রাণহানি ১১% এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৫.১৫%; প্রাণহানি ৫.৯২% ঘটেছে। ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৭২টি দুর্ঘটনায় ১৬১ জন নিহত হয়েছেন। বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ৩১টি দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় ৪২টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম পঞ্চগড় জেলায়। এই জেলায় কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি ঘটেনি। রাজধানী ঢাকায় ২৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছে। এমএইচ/
|