কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের ৪৮তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:১৫ সকাল
নিউজ ডেস্ক

|| হাসান আল মাহমুদ ||

কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) ৪৮তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় সারাদেশে কেন্দ্রগুলোতে এ পরীক্ষা শুরু হয়।

বেফাক সূত্রে জানা যায়, এ বছর সর্বমোট ৪৯টি জোনের আওতায় শুরু হয় পরীক্ষা।  পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৫ মারহালার/জামাতের (স্তর/ক্লাস) শিক্ষার্থীরা। স্তরগুলো হলো: ইবতিদাইয়্যাহ (তাইসীর), মুতাওয়াসসিতাহ (নাহবেমীর),  সানাবিয়া (কাফিয়া), সানাবিয়া উলিয়া (শরহে বেকায়া) ও ফযীলত (মিশকাত)।

বেফাক জানায়, পরীক্ষা সারাদেশের ২২৭১টি মারকাজে হিফয-কিরাআতসহ ৭টি মারহালায় ৩,৪৯,৭৭৬জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। তাদের মধ্যে ছাত্র ১,৪৭,২১২ এবং ছাত্রী ২,০২৫,৬৪। 

পরীক্ষা প্রতিদিন সকাল ৯টায় শুরু হবে। চলবে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ১০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) শেষ হবে বেফাকের ৪৮তম এই কেন্দ্রীয় পরীক্ষা।  

আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বোর্ডটি জানায়, সারাদেশে বেফাকভুক্ত প্রায় ২৯ হাজার মাদরাসার মধ্যে কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৭,৩৬২টি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। বেফাকের ১১তলা নতুন ভবনে আইটি শাখার ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির সাহায্যে পর্যবেক্ষণকেন্দ্র সারাদেশের হলসমূহ সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে থাকে। সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য প্রতিদিন পরীক্ষা চলাকালীন বেফাকের মনিটরিং সেল উদ্ভুত সমস্যার সমাধান দেয়। বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক পরীক্ষা বিভাগীয় জিম্মাদারগণের সার্বক্ষণিক সহযোগিতায় সেলের কার্যক্রম সমন্বয় করেন। প্রথমদিনে মনিটরিং সেলে বেফাকের মুহতারাম সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান, সহ-সভাপতি মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন গহরপুরী ও সহ-সভাপতি মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়াসহ মনিটরিং সেলের অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বেফাক সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমি বেফাকের সকল কমিটি এবং আমার সহকর্মীগণের পক্ষ থেকে তাদের জন্য আন্তরিক দোয়া ও শুভকামনা জানাচ্ছি। শিক্ষার্থীরা, তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে, শান্ত মনে, ঠাণ্ডা মাথায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কর। আল্লাহ তোমাদের ইলম আমল মেধা ও প্রজ্ঞায় বরকত দান করুন।

উল্লেখ্য, বিগত বছরের ন্যায় এ বছরও প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষার কিছুসময় পূর্বে কেন্দ্রীয় পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ কমিটির তত্ত্বাবধানে সারাদেশের সকল কেন্দ্রে অনলাইনে প্রশ্নপত্র প্রেরণের পরপরই প্রশ্ন প্রিন্ট করে পরীক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হয়েছে। প্রযুক্তির এরূপ ব্যবহার সর্বমহলে ইতোমধ্যে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।

হাআমা/