চার দাবিতে বিক্ষোভে ম্যাটস শিক্ষার্থীরা, অবরুদ্ধ শাহবাগ
প্রকাশ:
২২ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৩:২৬ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
অবিলম্বে দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগ এবং সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ তৈরিসহ চার দফা দাবি নিয়ে রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টস ট্রেনিং স্কুল-ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর একটার দিকে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এই মোড়ে, সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন বলে শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর জানিয়েছেন। এতে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। ওসি মনসুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দাবিদাওয়া নিয়ে ম্যাটস শিক্ষার্থীরা শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছে। এখনও রাস্তা বন্ধ, সেখানে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে।” দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেছেন, তারা এক ঘণ্টা সময় দিচ্ছেন। এর মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শাহবাগে এসে তাদের সঙ্গে কথা না বললে তারা শাহবাগ ছাড়বেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ম্যাটসের শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলোর মধ্যে আছে- অবিলম্বে দশম গ্রেডে শুন্য পদে নিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ তৈরি করতে হবে। চার বছরের একাডেমিক কোর্স বহাল রেখে কারিকুলাম সংশোধন ও ভাতাসহ এক বছরের ইন্টার্নশিপ চাইছেন তারা। এছাড়া প্রস্তাবিত অ্যালায়েড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড বাতিল করে ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ নামে বোর্ড গঠন করা এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও বিএমএন্ডডিসি স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ চেয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। প্রথমে সকাল দশটার দিকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা আবস্থান নেন। সেখান থেকে বেলা একটার কিছু আগে শাহবাগ মোড়ে এসে সড়ক অবরোধ করেন। ঢাকার একটি বেসরকারি ম্যাটসের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল সাজিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন এদিন তারা ক্লাস বর্জন করে ধর্মঘট পালন করছেন। তিনি বলেন, “বিষয়টি তাদের দাবি নয়, অধিকার। আমরা তিন বছরে একাডেমিক পড়াশোনা এবং এক বছর ইন্টার্নশিপ করার পরও গত ১৭ বছর ধরে সরকারিভাবে আমাদের নিয়োগ নেই। আপনারা জানেন, মেডিকেলে ইন্টার্নশিপ ছাড়া পড়াশোনা অচল, নতুন কারিকুলামে ইন্টার্নশিপ বাতিল করা হয়েছে। “ প্রতিটি শিক্ষার্থীর অধিকার উচ্চশিক্ষা, কিন্তু আমরা বঞ্চিত। ক্লিনিক্যাল সার্ভিসগুলোয় আমরা উচ্চশিক্ষার অধিকার চাই।” আরেক শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম শান্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশের গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমাদের পদ ছিল। কিন্তু সেগুলো শুন্য অথবা আমাদের জায়গায় নন মেডিকেল লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটা কেমন বাংলাদেশ?” দেশে ১৬টি সরকারি এবং ৫১টি বেসরকারি অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল আছে। এসব ট্রেনিং স্কুল থেকে তিন বছরের কোর্স সম্পন্ন করলে শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ডিগ্রি পান। তারা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। বিনু/ |