হাউ অ্যান ইকোনোমি গ্রোস: অর্থনীতির সহজ পাঠ
প্রকাশ:
১৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০:৩৯ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
মোহাম্মাদ হুজাইফা অর্থনীতি নিয়ে গল্পাকারে চমৎকার একটি বই অনুবাদ করেছেন অপু তানভীর। ঠিক অনুবাদ নয় বরং ইংরজি ভাষার একটি গল্পকে তিনি নিজের মত বলেছেন। ‘একটি নির্জন দ্বীপে তিনজন মানুষ বাস করত। তাদের কোনো ইকোনোমি ছিল না।…’ গল্পকে এভাবে শূন্য থেকে শুরু করে লেখক ইকোনোমির জটিলতা পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছেন। দুর্বোধ্য বিষয়কে এমনভাবে হেসেখেলে বুঝিয়েছেন— মনে হবে ইকোনোমি মজা করে শেখারই বস্তু। অর্থনীতি কীভাবে মানুষের মধ্যে শক্তি তৈরি করে, রাজনীতির পট পরিবর্তন করে, এমনকি দেশ গঠনের পেছনেও অর্থনীতি কীভাবে কাজ করে— সেই বিষয়গুলো গল্পাকারেই তুলে ধরা হয়েছে। ‘মানুষ উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে পুঁজি সৃষ্টি করতে পারে, পুঁজি দিয়ে উৎপাদন বাড়াতে পারে, উৎপাদন যত বাড়বে অর্থনীতির আকার তত বড় হবে’— এই সূত্রটা লেখক পুরো বইতে বোঝাতে চেষ্টা করেছেন। চেষ্টায় তিনি সফল হয়েছেন বলেও আমার মনে হয়। অর্থনীতিতে কেন ধ্বস নামে কিংবা উৎপাদনের তুলনায় ব্যয় বেড়ে গেলে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়; লেখক সেগুলোও গল্পের মধ্যেই খুব সহজে উপস্থাপন করেছেন। পুঁজি আটকে না রেখে ইনভেস্ট করার প্রতিও উৎসাহিত করেছেন তিনি। অনেকগুলো গুণের মাঝে বইটির একটি সমস্যার কথাও উল্লেখ করতে হয়— এই বইতে বলা হয়েছে সুদের মাধ্যমেও পুঁজি বাড়ানো যেতে পারে। এর জন্য আকর্ষণীয় যুক্তিও লেখক দিয়েছেন। যা সাধারণ মানুষের নিকট অত্যন্ত গ্রহণীয় হবে। আমরা মুসলিম হিসেবে সুদকে কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারি না। ইসলাম বলে— সুদ সমাজের জন্য অভিশাপ। আবারও বইয়ে ফিরি। পুরো বই জুড়ে একটা গল্প। গল্পটি মধ্যযুগের নির্জন কোনো দ্বীপের তিনজন আদিবাসীকে কেন্দ্র করে সাজানো। ১৭টি অধ্যায়ে ভাগ করা। প্রত্যেক অধ্যায়ের শেষে ‘রিয়েলিটি চেক’ শিরোনামে বর্তমানের সঙ্গে নিপুণভাবে সামঞ্জস্য করে দেখানো হয়েছে। এই কারণে এ বইয়ের মাধ্যমে অর্থনীতি আরও বেশি বোধগম্য হয়ে উঠেছে। বইটি আমার পড়া হয়েছে। যারা অর্থনীতির ছাত্র না, কিন্তু অর্থনীতি বুঝতে চায়— তাদের জন্য বইটি বেশ উপকারী হবে বলে আমার ধারণা। বইটি মূলত অনূদিত। ইংরেজি ভাষার দুটি বই থেকে যৌথ অনুবাদ করা হয়েছে। মূল লেখক পিটার শিফ ও অ্যান্ড্রু শিফ। এক নজরে বইটি- নাম: হাউ অ্যান ইকোনোমি গ্রোস অ্যান্ড হোয়াই ইট ক্রাশেস |