হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কীকে যে কারণে ভালোবাসেন কাসেম নানূতবী রহ.
প্রকাশ:
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:২৫ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
|| মুহাম্মাদ মোশাররফ হুসাইন || দারুল উলূম দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ কাসেম নানূতবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ- হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহিকে কেউ তাকওয়ার কারণে ভালোবাসেন, কেউ কারামতের কারণে ভালোবাসেন ; কিন্তু আমি তাঁর অগাধ দীনি প্রজ্ঞার কারণে ভালবাসি। হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন——মানুষ আমাকে প্রশ্ন করে, হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট কি জিনিস আছে যার কারণে বড় বড় উলামাদেরকেও তাঁর দরবারে উপস্থিত হতে দেখা যায় । উত্তরে আমি বলি——আমাদের নিকটে শরীয়তের শুধু আক্ষরিক জ্ঞানই আছে আর হাজী সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকটে আছে তার অর্থ ও বাস্তব অনুধাবন বিষয়িক জ্ঞান । হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি হাজি রহ. ৩১ ডিসেম্বর ১৮১৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যু ১৮ অক্টোবর ১৮৯৯। তিনি ছিলেন ভারতের একজন মুসলিম পণ্ডিত ও চিশতি তরিকার সুফি। তার নেতৃত্বে শামলীর যুদ্ধ হয়। তিনি মিয়াজি নূর মুহাম্মদের খলিফা এবং নজিব আলী চৌধুরীর ওস্তাদ ছিলেন। প্রাথমিক জীবন হাজি ইমদাদউল্লাহ মুহাজির মাক্কি ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর জেলার নানূতা অঞ্চলে আরবি ২২শে সফর ১২৩৩ হিজরী মোতাবেক ১৮১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। বংশের দিক থেকে তিনি ছিলেন ফারুকি অর্থাৎ উমর ফারুকের বংশধর। তার তিনজন ভাই ছিলেন, তন্মধ্যে জুলফিকার ও ফিদা হুসাইন তার বড় এবং বাহাদুর আলি শাহ তার ছোট ছিলেন এবং বী ওয়াযিরুন্নিসা নামে তার এক ছোট বোনও ছিল।জন্মের পর তার আব্বাজান তার নাম রাখেন ইমদাদ হুসাইন এবং তার ঐতিহাসিক নাম রাখা হয়েছিল জাফর আহমদ (১২৩৩)। কিন্তু তৎকালীন মুহাদ্দিস শাহ মুহাম্মদ ইসহাক এটি শোনার পর অসন্তুষ্ট হন এবং নাম বদলিয়ে ”ইমদাদউল্লাহ” রাখতে বলেন। তাকে “খোদা বখশ” ও “আবদুল করিম” বলেও ডাকা হত। তিন বছর বয়সে তাকে সাইয়েদ আহমদ শহীদের কাছে পাঠানো হয়। সাইয়েদ আহমদ শহীদ তার জন্য দোয়া করেন। শিক্ষাজীবন ইমদাদউল্লাহর সাত বছর বয়সে তার মা বিবি হূসাইনি বিনতে শায়েখ আলী মূহাম্মদ সিদ্দীকি নানুতুবী মৃত্যুবরণ করেন। তার আম্মাজান তাকে এতটাই স্নেহ করতেন যে তার শেষ অসিয়তে উল্লেখ ছিল, “আমার এই ইচ্ছাকে সম্মান কর, আমার সন্তানকে যেন কেউ স্পর্শ না করে”। এর তাৎপর্য এই যে কেউ যেন তার দিকে ক্ষতির বা বদনজরে না তাকায়। পরে তার অসিয়ত কঠোরভাবে মান্য করা হয় ফলস্বরূপ ইমদাদউল্লাহর শিক্ষা খুব একটা গুরুত্ব পায়নি। তবে কারো উৎসাহ ছাড়া তিনি ২৩ বছর বয়সে কুরআন মুখস্থ করেন। নয় বছর বয়সে তিনি মাওলানা মামলুক আলির সাথে দিল্লি যান। সেখানে তিনি আরবি ও ফারসি ব্যাকরণ শিক্ষালাভ করেন। এরপর তিনি মুহাম্মদ কালান্দার মুহাদ্দিস জালালাবাদির তত্ত্বাবধানে মিশকাতুল মাসাবিহ ও মাওলানা আবদুর রহিম নানুতুবির তত্ত্বাবধানে ফিকহুল আকবর অধ্যয়ন করেন। এছাড়াও তিনি জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমির মসনবি অধ্যয়ন করেন। তাঁর রচনাবলী: (١) مثنوی مولانا روم کا حاشیہ فارسی زبان میں (۲) غذائے روح : اردو (۳) جهاد اکبر : اردو (٤) درد نامۓ غمناک : اردو (۵) تحفة العشاق : اردو (٦) ضياء القلوب : فارسی (٧) ارشاد مرشد : اردو (۸) وحدة الوجود : فارسی (۹) فیصلہ ہفت مسله : اردو (۱۰) گلزار معرفت : اردو کلام (اا) مکتوبات فارسی و اردو হাআমা/ |